১১ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে রাজস্ব আহরণে ৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকার ঘাটতিতে রয়েছে। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ মাসে আদায়ের জন্য সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে, ৩ লাখ ২১ হাজার ৫১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। যা উল্লিখিত সময়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। পাশাপাশি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।

এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ে অর্থাৎ জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে আদায় হয়েছিল ২ লাখ ৮২ হাজার ৪১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। উল্লিখিত ১১ মাসের রাজস্ব আহরণের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে আয়কর। তবে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আহরণ পিছিয়ে আছে। তথ্য অনুযায়ী, আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা; লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর আগের বছরের চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ। স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মূসক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হয়েছে সাত হাজার ৭১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে। আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৪১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৯৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা কম। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩৫৫ কোটি টাকা ৮৪ লাখ টাকা। তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

Share