১২৭ বছর বয়সে মারা গেলেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ’

নয়াবার্তা ডেস্ক : ১২৭ বছর বয়সে মারা গেলেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ’। হোসে পাউলিনো গোমেস, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী তিনটি মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া গোমেস ব্রাজিলের মিনাস গেরাইসের একটি ছোট শহর পেড্রা বনিতাতে তার নিজের বাড়িতে মারা যান। তার ১২৮ বছর বয়সে পা দিতে মাত্র সাত দিন বাকি ছিলো ।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, শতবর্ষী গোমেস পশু প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন এবং চার বছর আগে পর্যন্ত ঘোড়ায় চড়তেন ।

নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভবত বার্ধক্যজনিত কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার তাকে তার নিজ শহরের কোরেগো ডস ফিয়ালহোস সমাধিক্ষেত্রে দাফন করা হয়।

পোস্টে বলা হয়েছে, গোমসের ১৯১৭ সালের বিবাহের সনদ মোতাবেক তিনি ১৮৯৫ সালের ৪ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেন। এর অর্থ এই যে, তিনি ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রেজিস্ট্রি অফিসও নিশ্চিত করেছে, তিনি ১৯০০ এর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যদিও গোমেসের পরিবার তার বয়স সম্পর্কে খুব বেশি নিশ্চিত ছিল না।

গোমেসের নাতনি এলিয়েন ফেরেইরা মিডিয়াকে বলেছেন, স্থানীয় ৯৮ বছরের এক বৃদ্ধাও নিশ্চিত করেছেন গোমেসের বয়স, তিনি অনেক ছোট থেকে গোমেসকে দেখছেন। গোমসের বর্ণনা দেবার সময় ফেরেরা পোস্টকে বলেছিলেন যে, তিনি গ্রামাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব পছন্দ করতেন ।

তার খামার থেকেই দৈনন্দিন খাদ্য যেমন -মুরগি, শূকর, সবজির যোগান মেটাতেন গোমেস। তিনি সবসময় একটু পান করতে পছন্দ করতেন।

গোমেস সাত সন্তান, নাতি-নাতনিদের রেখে গেছেন। তার স্বামী আগেই প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্পেনের ১১৬ বছর বয়সী মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তিনি ৪ মার্চ, ১৯০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
সূত্র : আউটলুক ইন্ডিয়া

Share