ডেইলি সাবাহ’র প্রতিবেদন বার্লিনে মসজিদে পুলিশি অভিযানের নিন্দা এরদোগানের

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : জার্মানির বার্লিনে একটি মসজিদে পুলিশি তল্লাশির নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। শুক্রবার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, বর্ণবাদ ও ইসলামবিরোধী মনোভাব থেকে এসব কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি টুইটে বলেছেন, বার্লিনের মেভলানা মসজিদে বুধবার ফজরের নামাজ আদায় করার সময় সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই আমি। বর্ণবাদ এবং ইসলাম বিরোধী নীতি দ্বারা এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে স্পষ্ট। এটা ইউরোপকে মধ্যযুগের অন্ধকারের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। সেখানে ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতাকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্টের মানসিক পরীক্ষা করার আহ্বান জানান।

কারণ, তার দৃষ্টিতে তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতার অংশ হিসেবে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। এসব ঘটনায় গর্জে উঠেছেন এরদোগান। তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন, বহু বছর ধরে ইউরোপকে দেখা হয়েছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার ভূমি হিসেবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, তারা এখন এমন একটি কাঠামোতে পরিণত হয়েছে, যারা ভিন্ন মতের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তুরস্কের পত্রিকা ডেইলি সাবাহ’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, এরদোগান আরো বলেছেন, পবিত্র উপাসনালয়ে নৃশংসভাবে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করার ক্ষেত্রে কোনো সাফাই গাওয়া যায় না বলে আমি বিশ্বাস করি। তুরস্ক বর্ণবাদ, ধর্মভীতি এবং বিশ্বের যেকোনো স্থানে ইসলামের বিরোধিতার নিন্দা জানায়।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, জার্মানির বার্লিনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ভর্তুকি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন স্থানে তদন্ত করছে বার্লিন কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে বুধবার জার্মান পুলিশ মেভলানা মসজিদ ও বেশ কিছু স্থাপনায় অভিযান চালায়। ভর্তুকি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ একই দিন প্রত্যাখ্যান করেছে ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষ এবং মসজিদের ভিতরে পুলিশি তল্লাশির সমালোচনা করেছে। খবরে আরো বলা হয়, মুখোশ ও পায়ে বুট পরা প্রায় ১৫০ জন পুলিশ সদস্য ফজরের নামাজের সময় কার্পেট বিছানো ওই মসজিদের ভিতরে আকস্মিক প্রবেশ করে। তারা সেখান থেকে ৭ হাজার ইউরো নগদ অর্থ উদ্ধার করে। এ ছাড়া উদ্ধার করে ডাটা সংরক্ষণকারী বিভিন্ন ডিভাইস, কম্পিউটার, ফাইল। বুধবার টুইটারে এ তথ্য দিয়েছেন বার্লিনের পাবলিক প্রসিকিউটর। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, তিনজন সন্দেহভাজনের সন্ধানে ওই তল্লাশি চালানো হয়েছে। অভিযোগ আছে ওই তিনজন ব্যক্তি অন্যায্য উপায়ে করোনা ভাইরাস বিষয়ে তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন।
তবে টুইটারে পুলিশের এমন অভিযানের সমালোচনা করেছেন জার্মান সাংবাদিক ফাবিয়ান গোল্ডম্যান। তিনি বলেছেন, কামএক্স-এর ৫৫০০ কোটি ইউরো আয়কর ফাঁকির ঘটনা তল্লাশিতে মাত্র ১৫ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। অন্যদিকে ওই মসজিদে মাত্র ৭ হাজার ইউরো উদ্ধারের জন্য তার চেয়ে ১০ গুণ পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে।

Share