নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, গত বছর থেকে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করা হয়েছে। তখন আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছিলো শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ। আর এখন তো দেখছি শতকরা ৫০ ভাগের মত আইনজীবী ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনায় অংশ নিচ্ছেন। রবিবার (২ এপ্রিল) আপিল বিভাগে মামলা পরিচালনাকালে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, মাই লর্ড এটা সত্য যে আগের চেয়ে ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনায় বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশ নিচ্ছেন। লকডাউনে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু থাকায় আইনজীবীরা তাদের পেশা পরিচালনা করতে পারছেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যাদের (আইনজীবী) স্মার্ট ফোন ও ল্যাপটপ নাই তারা যাতে ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনা করতে পারেন সে ব্যবস্থা কি বারে রাখা হয়েছে। যদি না রাখা হয় তাহলে আইনজীবী সমিতিতে ২০টি ল্যাপটপের ব্যবস্থা করতে অ্যাটর্নি জেনারেল ও বারের সম্পাদককে অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে আরেক মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি হাইকোর্টের সব বেঞ্চ ভার্চুয়ালি পরিচালনার অনুমতি দেই তাহলে প্রতিদিন অন্তত ৩ হাজার লোক সমাগম হবে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ঢাকা জজ কোর্টে দেখলাম হাজার হাজার লোক আদালত প্রাঙ্গনে। কোন শারীরিক দূরুত্বের বালাই নাই। আমার কাছে জজ কোর্টে লোক সমাগমের এ ভিডিও এখনও আছে।
এ সময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. ইমান আলী বলেন, ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্টে করোনায় একদিনে তিনজন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মারা গেছেন।
প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা তো চাই কোর্ট চলুক। বিচারপ্রার্থী জনগণের নানা জরুরি বিষয়সমূহ রয়েছে। কিন্তু লোকসমাগম যেভাবে হয় তাতে করোনা সংক্রমণের বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরী হয়।
সিনিয়র আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বলেন, যেগুলো আমরা কাগজে দেখি, বন্ধুদের কাছে শুনি মার্কেটেও ভয়াবহ অবস্থা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি তো চাই সব কোর্ট ভার্চুয়ালি চলুক। বাসায় বসে কোর্ট পরিচালনা করুক। কিন্তু এফিডেভিটসহ লোকজন যে বিভিন্ন কাজে কোর্ট প্রাঙ্গণে ভিড় করে। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ গুলোও চিন্তা করতে হয়।