WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_140a_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SHOW FULL COLUMNS FROM `nb_postmeta`

ঈদের ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করার সুপারিশ

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে বাড়ি গেছে, তাদের ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে ভিড় জমিয়ে বাড়ি গেছে, তাদের ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। পরে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে যেন তাদের ফেরানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গতকাল শুক্রবার ঈদের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা সক্ষমতা বাড়িয়েছি। কিন্তু আমাদের সক্ষমতারও সীমাবদ্ধতা আছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে; মাস্ক পরতে হবে। সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতসহ অন্য দেশের ভ্যারিয়েন্ট যেন আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, এ বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারতের মতো পরিস্থিতি আমাদের দেশে তৈরি হলে নাজুক অবস্থা হবে।’

এদিকে ঈদের দিন গতকাল শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাসে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিগত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) মৃত্যুর এই সংখ্যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগের দুই দিনের তুলনায় বেশ কম। গত বৃহস্পতিবার ৩১ জন এবং তার আগের দিন ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে ২৬ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০২।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।

করোনার সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে। তবে ঈদ সামনে রেখে শপিং মল ও দোকানে মানুষের ভিড় এবং ঘরমুখী মানুষের ঢল নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Share