নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : শনিবার বিমান থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা ফেলা হয় ভবনটিতে। বিবিসি জানিয়েছে, ওই ভবনটিতে আলজাজিরা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) অফিস ছিল। পাশাপাশি সেটি আবাসিক ভবন হিসেবেও ব্যবহার করা হত।হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছি কিনা, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
ছবিতে দেখা যায়, বোমা হামলার পর ভবনটি মাটিতে ভেঙে পড়ছে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভবনটিতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ব্যুরোও কার্যালয় ছিল। ঘণ্টাখানেক আগে এটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
গাজার অফিসটিতে ১১ বছর ধরে কাজ করা আলজাজিরার সাংবাদিক সাফাওয়াত আল খালুত তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, দুই সেকেন্ডের মধ্যেই ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তিনি বলেন, আমি ১১ বছর ধরে সেখানে কাজ করছি। আমি অনেক ঘটনা ভবনটি থেকে কাভার করেছি, আমরা ব্যক্তিগত পেশাদার জীবন যাপন করেছি, দুই সেকেন্ডের মধ্যে এখন সবকিছুই হারিয়ে গেল।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার ১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে এক পরিবারের ১০ সদস্য রয়েছে। যাদের আটজন শিশু ও দুইজন নারী।
অপরদিকে হামাসের রকেট হামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছে।