নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোতে অনেক চালক ভুয়া ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন করছেন। রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার তার কার্যালয়ে এ কথা জানান।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহত হন। হৃদরোগ হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলকে একটি কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে এ ঘটনা ঘটে। লাবণ্য উবারের মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন।
এ ঘটনার পর তাকে বহনকারী উবার মোটরসাইকেল চালক সুমন হোসেনকে ২৬ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর ২৭ এপ্রিল কাভার্ডভ্যানসহ চালক আব্দুর রহমানকে আশুলিয়া থেকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, লাবণ্যকে বাইকে উঠিয়ে চালক বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন। বাইকটি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাইক থেকে পড়ে যান লাবণ্য। তকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে বাইক চালক সুমন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
বিপ্লব কুমার সরকার আরও বলেন, হাসপাতালে উবারের বাইকচালক সুমন যে ঠিকানা দিয়েছিলেন সেটা ভুয়া ছিল। এমনকি তার নম্বরটি দিয়ে যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে সেটাও ভুয়া। উবারে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুমন যে ঠিকানা দিয়েছেন তাও ভুয়া। এসব ঠিকানায় তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, সুমন উবারে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে রাইডার নিবন্ধন করে সড়কে বাইক চালানোর অনুমতি পায়। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো কোনও যাচাই-বাছাই ছাড়াই চালকদের অনুমতি দিচ্ছে। এছাড়া নারীদের বাইকে তুলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হঠাৎ হঠাৎ বাইকে ব্রেক ধরেন চালকরা। এগুলো মনিটরিং করে না রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো।
পুলিশ বলছে, ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করায় সুমনকে খুঁজে পেতে পুলিশের সময় লেগেছে।