তবে আজকের মধ্যে শপথ না নিলেও কেউ যদি পরে শপথ গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে স্পিকারের সেটি বিবেচনার এখতিয়ার রয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ করতে না পারার কিংবা না নেওয়ার ‘যথার্থ কারণ’ দেখানোর কথাও সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে। এছাড়াও সংবিধানে বলা আছে, স্পিকারের কাছে সময় বৃদ্ধির এই আবেদনও করতে হবে নির্ধারিত ৯০ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নে মোট ছয়জন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- বগুড়া-৬ আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মো. হারুন অর রশীদ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এদের মধ্যে জাহিদুর রহমান শপথ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
সূত্রে জানা গেছে, শপথ গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে বিএনপির কেউ গতকাল পর্যন্ত মৌখিকভাবে বা বাহক মারফতও স্পিকারের কাছে সময় চাননি। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচিত পাঁচজনের কেউ যদি আজকের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্পিকারের কাছে বর্ধিত সময় না চান-সেক্ষেত্রে তার আসন শূন্য হওয়ার সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তবে গত কয়েকদিন ধরে জোর গুঞ্জন ছিল, নির্বাচিত মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম ও হারুন অর রশীদও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নিতে পারেন। শপথ গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখায় তারা কয়েকদিন ধরে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রেখেছেন। তবে শপথ গ্রহণ না করা কিংবা সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় এবং জাহিদকে বহিষ্কার করায় নিজেদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরণে নতুন করে আগ-পিছ ভেবে দেখছেন শপথ গ্রহণে আগ্রহীরা।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) শনিবার ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমার জানামতে বিএনপির আর কারও শপথ গ্রহণের সময়সূচি এখন পর্যন্ত (শনিবার পর্যন্ত) ঠিক হয়নি। তবে রবি ও সোমবার বাকি আছে। যদি কেউ শপথ নিতে চান তাহলে এই দুইদিনেও নিতে পারেন।