নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৮ জন। আগের দিনের তুলনায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৯ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। ওই সময় করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৮ হাজার ৪৮৯ জনের। তবে পরীক্ষা হয়েছিল অনেক কম, ২৯ হাজার ২১৪ জনের। রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৮৯৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। খুলনা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৪০ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও মাসখানেকের বেশি সময় ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। দেশে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে দৈনিক সংক্রমণ এবং করোনায় মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এ সময় সব ধরনের অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছে। এখন আবার মার্কেট, শপিং মল ও দোকানপাট খুলেছে। চলছে গণপরিবহনও।
এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা বলেছে, দেশে যখন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে সেই সময় বিধিনিষেধ শিথিল করায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে যেসব দেশে, সেই তালিকায় দ্বাদশ অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।