নয়াবার্তা প্রতিবেদক : দুঃসময় কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার আশায় আনন্দ–উচ্ছ্বাসে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে বরণ করল দেশের মানুষ। খ্রিষ্টীয় ২০২২–এর প্রথম প্রহরে ফানুস ও আতশবাজিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উদ্যাপনের সঙ্গী হন শহরজুড়ে ভবনগুলোর বাসিন্দারা। বহুতল ভবনের ছাদে মিলিত হয়ে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ান তাঁরা।
২০২১ সালের শেষ সূর্যাস্তের আগে–পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের জমায়েত হলেও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনার কারণে সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের চলে যেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেকটা ফাঁকাই হয়ে পড়ে৷
ঘড়ির কাঁটা ১২টায় পৌঁছাতেই টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ ও সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা ফানুস ওড়ান। একই সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসিসংলগ্ন ফটক থেকে ছোড়া হয় আতশবাজি। আতশবাজির আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে টিএসসি এলাকা।
এ সময় শহরজুড়ে আতশবাজি ফোটানো হয়। পুলিশের নির্দেশনায় উন্মুক্ত স্থানে জড়ো হতে না পারলেও নিজেদের ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নগরবাসী।
টিএসসির উদ্যাপনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের ছাত্র রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পুরোনো অপ্রাপ্তি ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করি। আশা করি, নতুন বছর আমাদের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল বয়ে আনবে, সব পঙ্কিলতা ধুয়ে-মুছে যাবে।’
খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নববর্ষ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন তাঁরা।
নতুন বছরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। বাণীতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন অতি সংক্রামক ধরন ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নববর্ষ উদ্যাপনের আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন বছরে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার, সব সংকট দূরীভূত এবং সবার জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।