নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : ‘বছর দুয়েক আগের কথা। আলামিন নামে এক সহপাঠী যখন মৃত্যুর পথযাত্রী, তখন মৌসুমী ছুটে বেড়িয়েছিল মানুষের দ্বারে দ্বারে। সাহায্য সংগ্রহে সে ছিল অগ্রগামী। কিন্তু আজ সেই মৌ লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে।’ কথাগুলো বলছিলেন মৌসুমী আক্তার মৌয়ের সহপাঠী ইজাবুল বারী। তাঁরা উভয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
মৌয়ের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালের বেডে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। তাঁর রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে এসএলই ভাইরাস। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ক্রমাগতভাবে তাঁর শরীরের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আর প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এটি ক্যানসারের জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার সর্বশেষ স্তর। তাঁকে সুস্থ করতে দরকার উন্নত চিকিৎসা। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার টাকা তাঁর চিকিৎসা ব্যয়ে খরচ হচ্ছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে এখনো দরকার চার লাখ টাকার বেশি।
হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মৌ। ছবি: সংগৃহীতহাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন মৌ। ছবি: সংগৃহীত
জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার কবিরপুর গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়ে মৌ। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। মা রেবেকা পারভীনের বলেন, ‘মেয়ের অবস্থা ভালো না। খেতে পারে না। বিছানা থেকে উঠতেও পারে না৷ ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ভারতে নিতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু আমাদের তো এত টাকা নাই।’ এ জন্য মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান মানুষের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সহপাঠী রতন আলী বলেন, ক্লাসে বেশ ভালো ছাত্রী ছিলেন মৌ। সর্বদা সদালাপী আর বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন তিনি। আরেকজন বলেন, ভালো আবৃত্তি করতেন। স্বপ্ন দেখতেন বড় মঞ্চে আবৃত্তি করার। কিন্তু মাঝ পথে বাদ সাধল মরণব্যাধি এই ভাইরাস। তারা সবাই চেষ্টা করছেন যেন মৌ তাদের মাঝে ফিরে আসে। আর ওর হাসিখুশি চঞ্চলতায় আবারও প্রাণ পায় ক্যাম্পাস।
মৌকে ০১৭৫০-২৬২৫১৯ (ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে) ও ০১৭৩০-৬৬৮৭৪৫৫ (ডাচ-বাংলা হিসাব নম্বরে) আর্থিক সহায়তা করতে অনুরোধ করেছে তাঁর পরিবার।