নয়াবার্তা প্রতিবেদক : বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার নতুন দর ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশনের এক বৈঠকে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের এক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চলতি বছরের শুরুতে পাইকারি দাম ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধির আবেদন করে। গত ১৮ মে এই প্রস্তাবনার ওপর গণশুনানির আয়োজন করে বিইআরসি। শুনানিতে বিইআরসি গঠিত কারিগরি কমিটি ৫৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিল।
সূত্র বলছে, পাইকারি দাম ১৫-১৮ শতাংশ বাড়তে পারে। সর্বশেষ ২০২০ সালে বিদ্যুতের দাম বেড়েছিল।
ব্যবসায়ী ও ভোক্তা প্রতিনিধিরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিরোধীতা করেছেন। তারা বলছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের মূল্য বাড়বে। শিল্প কারখানার উৎপাদন কমে যাবে। অর্থনীতি পিছিয়ে পড়বে।
উদ্যোক্তাদের মতে দু বছরের করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি ভালো না। জ্বালানির দাম নাগালের বাইরে। এর মধ্যে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো উচিত না। কারণ উচ্চ জ্বালানি মূল্যে, অতিরিক্ত পরিবহন খরচ (ডিজেলের দাম বাড়ায়), কাঁচামালের দামের ঊর্ধ্বগতি, ডলারের অবমূল্যায়নের ফলে লাভের হার কমতে শুরু করেছে। এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে। বিদ্যুতের একক ক্রেতা পিডিবি। নিজেরা উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি ও বেসরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে তারা। এই বিদ্যুৎ পাইকারি দরে পাঁচটি বিতরণ কোম্পানির কাছে বিক্রি করে।