ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন মানুষ

নয়াবার্তা বাগেরহাট প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-আতঙ্কে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বাগেরহাটের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, কেউ কেউ গৃহপালিত পশু ও মূল্যবান মালামাল নিয়েও আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। আজ দুপুর পর্যন্ত ২৯ হাজার ১০০ মানুষ এবং ১ হাজার ৬১০টি গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে। এ ছাড়া দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি), রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবকেরা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা করছেন। সিপিপি, প্রশাসন, কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

আজ সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস উপকূলবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে। সুন্দরবন-সংলগ্ন মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলী আজম বলেন, ‘সকাল থেকে মোংলায় বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন খবরে জানতে পারলাম ঘূর্ণিঝড় আসছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’

মোরেলগঞ্জের বারুইখালী এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন রহিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘যেভাবে ঝড় আসতেছে আর বাতাস হচ্ছে, তাতে যেকোনো সময় ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে আসছি।’

শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার বাসিন্দা শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘২০০৭ সালের সিডর আইছিল। বলেশ্বরপাড়ের মানুষ আমরা এখনো ভয়ে থাকি। আবার নাকি বড় ঝড় আসছে। আল্লাহ আমাদের মাফ করে দিক, এই দোয়া করি।’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে। ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া ২৯৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ১০টি কন্ট্রোলরুম, প্রয়োজনীয়সংখ্যক মেডিকেল দল ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

Share