মিরাজ-মোস্তাফিজের শেষ উইকেট জুটি হারাল ভারতকে

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : দলীয় ১৩৬ রানে নবম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে জিততে বাংলাদেশের দরকার আরও ৫১ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের বীরত্ব আর মোস্তাফিজুর রহমানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায় টাইগাররা।

চাহারের ওভারের প্রথম বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, কাট করে চার মারেন মিরাজ। পরের দুই বল ডট দেওয়ার পর চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগ থেকে সিঙ্গেল। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩ রান। চাহারের সে বলটি ছিল নো, ফলে তখন দরকার ছিল ২ রান। তবে ফ্রি হিটের ডেলিভারিটি চাহার করেন শর্ট, মিস করেন মোস্তাফিজ। পরের বলে মিডউইকেট থেকে সিঙ্গেল, সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভাঙলেও মোস্তাফিজ ক্রিজে পৌঁছে যান তার আগেই। সে সিঙ্গেলই নিশ্চিত করে, ম্যাচ হচ্ছে টাই। শেষ বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মারা চারে বাংলাদেশের ১ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ।

মিরপুরের স্বাদ ভারতীয় ক্রিকেট দল আগেও পেয়েছে। সাত বছর পরে ওই স্বাদ আবার দিল বাংলাদেশ দল। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে ১৮৬ রানে তাদের প্যাকেটও করে দেন অভিজ্ঞ স্পিনার সাকিব আল হাসান ও দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা পেসার এবাদত হোসেন। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও মেহেদি মিরাজের দৃঢ়তায় ১ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা।

ভারতকে নাগালে পেয়েও ম্যাচটি হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে করতে হতো ৫১ রান। মিরাজের সঙ্গী কেবল মুস্তাফিজুর রহমান। হারের প্রান্তে দাঁড়িয়ে শট খেলতে শুরু করেন মিরাজ। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ক্যাচও তুলে দেন তিনি। কিন্তু উইকেটরক্ষক কেএল রাহুল উপরে ওঠা মিরাজের ক্যাচ নয় যেন ম্যাচই ছেড়ে দেন। ওই মিরাজ ৩৯ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস খেলে চার ওভার থাকতে দলকে জয় এনে দিয়েছেন।

ডিসেম্বরে শুরু। শীত জেকে না বসলেও শিশির পড়তে শুরু করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে বল ভিজে যাওয়ার চিন্তায় রোববার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে বোলিং করার বিষয়ে খুব একটা ভাবতে হয়নি নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের ইনজুরিতে নেতৃত্বভার পাওয়া লিটন দাসের। বল হাতে ভালোও করেন দলের বোলাররা।

Share