বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় গঠন ও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব এক বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি

আনোয়ারা পারভীন : বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয় গঠন ও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব গত এক বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। পিএসসিকে আইনি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং আইনের অধীনে বিধিমালা প্রণয়নের বিধান যুক্ত করার বিষয়টিও ঝুলে আছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির এ সংক্রান্ত সুপারিশ মন্ত্রনালয়ে ফাইল চাপা অবস্থায় পড়ে আছে। এর মধ্যে ১৫ সদস্যের কমিটির ২টি পদ ইতিমধ্যে শূন্য হয়েছে। আগামী জুন মাসে শূন্য হবে আরো একটি পদ। ফলে ১৫ সদস্যের কমিটি ১২ সদস্যে উপনিত হলে পিএসসির কর্মকান্ডেও স্তবিরতা নেমে আসবে।

পিএসসি সূত্র জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির সদস্য প্রফেসর হামিদুল হক অবসরে গেছেন। আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) বুধবার আর এক সদস্য বিনয় কৃষ্ণ বালা অবসরে গেছেন। আগামী জুন মাসে সদস্য প্রফেসর নুর জাহান বেগমও অবসরে যাবেন।

সূত্র জানায়, পিএসসির ১২ গ্রেড ও তদূর্ধ্ব (ক্যাডার ও নন-ক্যাডার) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাক বাছাই, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া, ফলাফল প্রস্তুত ও ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এছাড়াও নিয়োগবিধি ও কর্মের শর্তাবলী বিষয়ে কমিশন পরামর্শ দিয়ে থাকে, যা বিদ্যমান সদস্যদের পক্ষে যথাসময়ে পরামর্শ দেওয়া প্রায়শই সম্ভব হয়না বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি পিএসসির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৫ জনের পরিবর্তে ২০ জন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিলো।

সূত্র জানায়, কমিশন সচিবালয় গঠনের বিষয়টি আইনি কাঠামোতে আনার যুক্তি হিসেবে কমিটি বলেছিলো, কমিশন সচিবালয়ের মাধ্যমে যাবতীয় সাচিবিক কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু কমিশন সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত কোনো বিষয় আইনে উল্লেখ না থাকায় কর্ম সম্পাদনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় কমিশন সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

Share