নয়াবার্তা ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে মোটরসাইকেলে করে যাত্রী পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি নোটিশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। তবে এমন পদক্ষেপে উবার, ওলা ও র্যাপিডোরের মতো রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়বে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে করে যাত্রী পরিবহন ভারতীয় আইনের লঙ্ঘন। এ ধরনের অপরাধের জন্য চালকদের এক লাখ ভারতীয় রুপি পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে ভারতীয় রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন যানজটের মধ্যে সহজে গন্তব্য পৌঁছাতে হাজার হাজার ভারতীয় মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। এতে ভাড়ায়ও কিছুটা সাশ্রয় হয়। এ খাতে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে। তাদের অধিকাংশই যাত্রী পরিবহনে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন।
কিন্তু মোটরযান আইন অনুযায়ী, ভারতে ব্যক্তিগত যানবাহন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার নিষিদ্ধ।
সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত দিল্লির বেশ কয়েকজন চালকের সঙ্গে কথা বলছে ভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তারা বলছেন, এ অতিরিক্ত আয় ছাড়া তাদের নিত্যদিনের খরচ মেটানো কঠিন হয়ে যাবে।
তবে এবারই প্রথমবারের মতো এমন আইনি জটিলতায় পড়েননি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালকেরা।
এর আগে জানুয়ারিতে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি র্যাপিডোরের চালকদের লাইসেন্স দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার। কারণ হিসেবে সরকার জানায়, এসব চালকদের লাইসেন্স, নিরাপত্তা ও ভাড়া কাঠামো নিয়ে আইনি কোনো নির্দেশনা নেই। এ ছাড়া বৈধ লাইসেন্স না থাকায় মুম্বাই হাইকোর্টও প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে র্যাপিডো বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবার হাইহোর্টেই যেতে বলেন।
এ ছাড়া ভারতের পরিবহন শ্রমিকরাও মোটরসাইকেলে করে যাত্রী পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। গত ডিসেম্বরে তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দেয় একটি পরিবহন ইউনিয়ন। যেখানে তারা আইন করে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
গত বছর ভারতের রাইড শেয়ারিং নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যালাইড মার্কেট রিসার্চ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে মোটরসাইকেলে করে যাত্রী পরিবহন খাতের আর্থিক বাজারমূল্য ৫০ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে দেড় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।