নয়াবার্তা প্রতিবেদক : প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন।
এর আগে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আজ দুপুরে জামিন পান সাংবাদিক শামসুজ্জামান। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুরের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় শামসুজ্জামানের জামিন মঞ্জুর করেন।
শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন শুনানিতে বলেন, ‘সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ১২-১৩ জন ফুল বিক্রেতার বক্তব্য আর একজন দিনমজুরের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ মামলার অভিযোগ কোনোভাবেই সত্য নয়। হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে। মামলা না করে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ দেওয়া যেতে পারত। কারাগারে আটক শামসুজ্জামানের জামিন প্রার্থনা করছি।’
জামিনের বিরোধিতা করে পিপি আবদুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের উদ্দেশ্যে এসব কাজ করছে। এ মামলার বিষয়বস্তু অনুযায়ী আসামি অপরাধ করেছেন। এ মামলায় আসামির জামিনের বিরোধিতা করছি।’
শুনানিতে আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী নজিবউল্লাহ হিরু বলেন, ‘দেশের যখন স্বাধীনতা ছিল না, তখন স্বাধীনতার জন্য কথা বলা হয়েছে। এখন কি দেশে ভাতের স্বাধীনতা নেই? উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যার বক্তব্য প্রকাশ করা হলো, সেই জাকির কোথায়? সরকারের ভালো তাদের চোখে পড়ে না।’
গত ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। এ সময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।