আবাসনে জয়নালের জালিয়াতির জাল

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কেউ ফ্ল্যাট বিক্রি করতে চাইলে সেখানে ক্রেতা হিসেবে হাজির হন জয়নাল আবেদীন। ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে কয়েক লাখ টাকা বায়নাও করেন। এরপর মালিকানার সত্যতা যাচাইয়ের কথা বলে ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের কপি নেন। সেখান থেকে সব তথ্য নিয়ে তৈরি করেন জাল দলিল। জাল কাগজে কখনো নিজে মালিক হন, আবার কখনো নিজের চক্রের অন্য সদস্যদের মালিক বানান। এরপর সেই দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ। ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকাও নেন। বায়নাপত্র দেখিয়ে ক্রেতার নামে করেন ব্যাংক ঋণ। পরে সেই টাকাও আত্মসাৎ করে এই ভয়ংকর চক্র।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, জয়নাল চক্র রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ফ্ল্যাটের ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। সেইসঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে নিঃস্ব করেছে ক্রেতাদের। ফ্ল্যাটের ভুয়া মালিকানার কাগজে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাতিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তার কাছে বিনিয়োগ করে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন ফিকে হয়েছে অনেকের। আবার টাকা ফেরত চেয়ে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতনও সইতে হয়েছে অনেককে। আবাসন খাতে নানা সমস্যার মধ্যে জয়নাল চক্র যেন ভয়ংকর নতুন ‘ভূত’ হয়ে লুটছে সর্বস্ব।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চক্রের মূলহোতা জয়নাল আবেদীন কয়েক বছর আগেও রাজধানীর মিরপুরে কো-অপারেটিভ মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে প্রতারক চক্র গড়ে তুলে হয়েছেন শতকোটি টাকার মালিক। তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও মুক্তা আক্তার ওরফে কাজল। রাজধানীর তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাংকেও রয়েছে এই চক্রের ‘ভূত’।

জয়নাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারানো বেশ কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তাদের একজন মিরপুরের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান। ফ্ল্যাট বিক্রির কথা বলে তার কাছ থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জয়নাল। প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরে তিনি টাকা ফেরত চাইলে তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় তাকে। ওই ঘটনায় মামলা করলে তা মীমাংসা করে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জয়নাল। এরপর পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় ডেকে নিয়ে পথেই ওয়ারীর জয়কালী মন্দির এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে চোখ বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়।

ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান বলেন, জয়নাল তাকে বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি ফ্ল্যাট দেখান। শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট পছন্দ হয় তার। তাকে জানানো হয়, এই ফ্ল্যাটের মালিক সালমা কাশেম নামে আমেরিকা প্রবাসী এক নারী। ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ওই ফ্ল্যাটটির মূল্য বলা হলে তার কাছে সব টাকা নেই জানালে জয়নাল তাকে আশ্বাস দেন কয়েক লাখ টাকা ক্যাশ দিলে বাকি টাকা কয়েকটি ব্যাংক থেকে লোন করার ব্যবস্থা করে দেবেন। এরপর ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদনের বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়। পাশাপাশি শুরুতে তিনি অগ্রিম হিসেবে নগদ ৫ লাখ টাকা দেন। তার নামে ব্যাংক ঋণ হলেও সেই টাকা তুলে নেন জয়নাল, কিন্তু ঋণের দায় বর্তায় তার ওপর।

যেভাবে অন্যের ফ্ল্যাট নিজের নামে নেয় জয়নাল চক্র : ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, কোনো মালিক ফ্ল্যাট বিক্রি করতে চাইলে তা বায়না করে জয়নালের লোকজন। এরপর কাগজ ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করতে দলিলের কপি নেয়। সেই কপি দেখে রেজিস্ট্রি অফিসে থাকা নিজের লোকজনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের জাল দলিল তৈরি করে। এসব দলিলে কখনো নিজের দুই স্ত্রী, আবার কখনো ভাই ও চক্রের অন্য সদস্যদের মালিক বানানো হয়।

ভুক্তভোগী হাফিজুর রহমান জয়নালের মাধ্যমে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকে আমেরিকা প্রবাসী নারী সালমা কাশেমের ফ্ল্যাটটি পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু সব টাকা পরিশোধের পর সালমা কাশেম নামে অন্য এক নারীকে রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির করা হয় মালিক হিসেবে। এর কিছুই জানতেন না আসল মালিক!

সালমা কাশেম বলেন, তিনি ফ্ল্যাটটি বিক্রি করতে চাইলে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জয়নাল হাজির হন। ওই ব্যক্তি ফ্ল্যাটটির জন্য ৩০ লাখ টাকা বায়নাও করেন। এরপর ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য কাগজপত্র যাচাইয়ের কথা বলে তার পাসপোর্ট এবং দলিলের কপি নেন। কয়েকদিন পর হাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি এসে জানান, তিনি নাকি ফ্ল্যাট কিনেছেন, টাকাও পরিশোধ করেছেন! কিন্তু দলিলপত্রে নাম-ঠিকানা মিল থাকলেও তার ছবি-স্বাক্ষর না মেলায় বিষয়টি পরিষ্কার হয় ক্রেতা হাফিজের কাছে। ওই ক্রেতা বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন।

তিনি বলেন, পরে তিনি জানতে পারেন তার ফ্ল্যাটের ভুয়া মালিক বানিয়ে চারটি ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা লোন নিয়েছেন জয়নাল! প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি বায়নার ৩০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন জয়নালকে। শুধু তাই নয়, পরে তিনি জানতে পারেন, এই জয়নাল তার ফ্ল্যাটের আশপাশেও কয়েকটি ফ্ল্যাট কেনার নামে প্রতারণা করেছেন।

শুধু সালমাই নন, ব্যবসায়ী এম এ মতিন নামেও আরেক ফ্ল্যাট মালিক পড়েন জয়নাল চক্রের খপ্পরে। তার কাছ থেকে দলিলের কপি নিয়ে অন্যকে মালিক সাজিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রির পাঁয়তারা করেন জয়নাল। তবে বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে ধরা পড়ে। রেজিস্ট্রি অফিসের এক কর্মকর্তা ওই ফ্ল্যাট মালিকের পরিচিত হওয়ায় বিষয়টি টের পেয়ে তাকে জানান। এরপর জয়নালের বিরুদ্ধে মালিক মতিন থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

এম এ মতিন বলেন, জয়নাল ক্রেতা সেজে তার কাছে এসেছিল। যাচাইয়ের জন্য তার কাছ থেকে দলিলের ফটোকপি নেয়। এর কিছুদিন পর রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জানানো হয়, আমি নাকি ফ্ল্যাট বিক্রি করছি! বিষয়টি টের পেয়ে তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এরপর জয়নাল তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি।

যেভাবে ফাঁদে ফেলা হয় ক্রেতাদের : ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফ্ল্যাট বিক্রি নয়, মূলত টাকা হাতিয়ে নিতেই জয়নাল চক্র ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পাতে। কেউ ফ্ল্যাট কিনতে চাইলে তিনি বায়না হিসেবে নগদ কয়েক লাখ টাকা নেন। এরপর বাকি টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংক লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন জয়নাল। ক্রেতারা তা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেই পড়েন বিপদে। ব্যাংক লোন পাইয়ে দিতে ক্রেতার কাছ থেকে সব ধরনের কাগজপত্র এবং সই নেন জয়নাল। এরপর লোন পাস হলে ফ্ল্যাট বিক্রি বাবদ সেই টাকা চলে যায় জয়নালের লোকজনের সাজানো ভুয়া ফ্ল্যাট মালিকের অ্যাকাউন্টে। কিন্তু লোনের সব দায় থেকে যায় ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী ব্যক্তির নামে।

জয়নাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন আরও অনেকেই। তাদের মধ্যে মো. মোস্তফা। তিনি সব হারিয়ে এখন পালিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। মোস্তফাকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার কথা বলে তার সব কাগজপত্র নিয়ে তার অজান্তে চারটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা লোন নেয় জয়নাল চক্র। নগদ টাকাও তুলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন যখন বুঝতে পেরেছেন, তখন আর তার কিছুই করার ছিল না। ব্যাংক লোনের চাপে এবং জয়নাল চক্রের হুমকির মুখে পলাতক জীবন কাটাচ্ছেন মোস্তফা।

জাল সনদ দিয়ে লোন নেওয়া যেন হাতের খেলা : জয়নালেল বন্ধু মো. আজিজ পেশায় রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার। থাকেন মিরপুরের লালকুঠি মাজার রোড এলাকায়। জয়নালের কথিত প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, এই আজিজের নামে ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ট্রেড লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্সের কাগজ তৈরি করে ভুয়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন জয়নাল। এরপর সেই ভুয়া কাগজে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লোন নেন জয়নাল। এর মধ্যে আজিজকে দেওয়া হয় মাত্র ১৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা যায় জয়নালের পকেটে। কাগজে কলমে জয়নাল নিজে মালিক হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন লোককে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক বানিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন। এরপর ভুয়া মালিকদের দেখিয়ে ভুয়া কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিয়েছেন জয়নাল এবং তার চক্র।

জয়নাল চক্র আজিজকে মালিক সাজিয়ে ইস্টার্ন ব্যাংকের আশকোনা শাখা থেকে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ঋণ নেয়। প্রথম দফায় নিয়ম অনুযায়ী কয়েক কিস্তি শোধ করলেও পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে ভুয়া কাগজের বিপরীতে ওই লোন নেওয়া হয়েছে।

ইস্টার্ন ব্যাংকের ওই শাখার কাস্টমার রিলেশনশিপ অফিসার মো. ফখরুল বলেন, তারা শুরুর দিকে ভেবেছিলেন জয়নালের লোকজন ভালো গ্রাহক এবং কাগজপত্রও বৈধ। এজন্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ঋণ তারা দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাংকের লিগ্যাল টিম যাচাই করে কাগজপত্র ভুয়া পায়। এরপর তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছেন।

জয়নালের ভয়ানক প্রতারক চক্রে যারা : জয়নাল যেন প্রতারণায় পারিবারিক অফিস খুলে বসেছিলেন। নিজের দুই স্ত্রী ও ভাই ছাড়াও শ্যালক তানভীর, ভায়রা মোস্তাফিজ, রফিকুল ইসলাম ওরফে আলিফ, আলিফের স্ত্রী হালিমা আক্তার, দ্বীন ইসলাম, মো. শাহজাহান, জাহিদ হাসান, লিটন, পিয়াল, সাত্তার, মিঠু, মোস্তাফিজ ও রুজেল।

তাদের মধ্যে লিটন এবং পিয়াল জাল দলিল, এনআইডি এবং অন্যান্য কাগজপত্র জাল করেন জয়নালের হয়ে। মিঠু রেজিস্ট্রি অফিসের কাজ শেষ করেন। ব্যাংক ঋণের বিষয়টি দেখভাল করেন ভায়রা ভাই মোস্তাফিজ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারণার জন্য বিভিন্ন নামে চারটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেন জয়নাল। এসব জাল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করেছেন ৮০টির বেশি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং অন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিসের কর্মকর্তাদের জাল সিল রয়েছে তার কাছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতারণার মাধ্যমে জয়নাল রাজধানী এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। ভাটারা এলাকায় রয়েছে তার ৭তলা বাড়ি। এ ছাড়া উত্তরায় প্রায় শতকোটি টাকা মূল্যের একটি জমি রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই জমিটিও প্রতারণার মাধ্যমে কিনেছেন জয়নাল। এ ছাড়া তার বড় ভাই এবং দুই স্ত্রীর নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে নামে-বেনামে সম্পত্তি রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘ বছর ধরে জয়নাল চক্র আবাসন খাতকে টার্গেট করে প্রতারণা করে এলেও সবকিছু ম্যানেজ করেই চলছিলেন। ব্যাংক থেকেও ভুয়া নামে কোটি কোটি টাকা লোন পাচ্ছিলেন ম্যানেজ করেই। তবে হাফিজুর রহমানকে অপহরণ করে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ গত মঙ্গলবার জয়নালসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু এই আসামিদের রিমান্ডে না নেওয়ায় তাদের প্রতারণার বহু কিছুই রয়ে গেছে অজানা।

ডিবির ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, জয়নাল ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় ও ভুয়া কাগজে ব্যাংক লোন প্রতারক চক্রের হোতা। তাকেসহ ওই চক্রের ছয় সদস্যকে তারা গ্রেপ্তার করেছেন। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালত জেল গেটে এক দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমোদন দেন।

Share