নয়াবার্তা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্যরা ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য প্রস্তাবিত নতুন সহায়তা তহবিলের ওপর আনা বিল আটকে দিয়েছেন। এর আগে বিলটি পাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিনেটরদের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ তহবিলে অর্থের পরিমাণ ১০৬ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬০০ কোটি) মার্কিন ডলার।
ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য নতুন এ তহবিলের প্রস্তাবে সায় দিতে জো বাইডেনের যুক্তি ছিল, এ অর্থ বরাদ্দ না দিলে তা হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘উপহার’। আবার চলতি শীত মৌসুমে ইউক্রেন বরফে জমে গেলে অর্থের অভাবে সেখানকার লোকজন ভীষণ কষ্টে থাকবেন। প্রস্তাবিত অর্থের মধ্যে বাইডেন ৬১ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য। বাকি অর্থ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজাকে সহায়তায়।
ইউক্রেনকে অর্থ দেওয়ার বিষয়ে জো বাইডেনের আরও যুক্তি ছিল, যদি যুক্তরাষ্ট্র দেশটির পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে মস্কোর কাছে নতজানু হয়ে পড়বে কিয়েভ, যা ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৯ জন রিপাবলিকান সিনেটর। ১০০ আসনের সিনেটে এই বিলটি পাসের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০টি ভোট। এর বাইরে স্বতন্ত্র সিনেটর হিসেবে পরিচিত বার্নি স্যান্ডার্স (ডেমোক্র্যাট সদস্য) ইসরায়েলকে সহায়তার তহবিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে রিপাবলিকান সিনেটররা মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন শত শত অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার নীতিরও বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মতে, এ সীমান্ত দিয়ে দিনে ১০ হাজারের মতো মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে থাকেন। জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থে এখন এ নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সময়ের দাবি বলে জানান রিপাবলিকান সিনেটর জেমস ল্যাঙ্কফোর্ড। তাঁর মতে, তাঁদের দক্ষিণের সীমান্ত সমস্যা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের পক্ষে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের রিপাবলিকান সদস্যরা। রিপাবলিকান দলীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা সামাল দেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তার ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সতর্ক করে বলা হয়, ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল চলতি বছরের শেষ নাগাদ শেষ হয়ে যাবে।