নয়াবার্তা প্রতিবেদক : গ্রুপ পর্ব পার হতেই হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একটি মন্তব্য অনেকেরই মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। টাইগার হেড কোচ বলে বসেন, আমাদের মূল লক্ষ্য সুপার এইটে আসা হয়ে গেছে। এখন যা হবে তা বোনাস।
নামী ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন, হাথুরুসিংহের অমন নেতিবাচক মন্তব্যে দলের ভালো খেলার উৎসাহে ভাটা চলে আসে।
আজ মঙ্গলবার কোচ ফাহিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে সুপার এইটে উঠে, আমরা কেমন যেন গা ঢিলেমি করলাম। হেড কোচ বলে বসলেন আমাদের আসল লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, এখন যা হবে তা বোনাস। সেটা আমাদেরকে অনেক পেছনে ঠেলে দিয়েছে। আমার মনে হয় সুপার এইটে ভালো খেলার যে দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা, সদিচ্ছা ও দৃঢ় সংকল্প থাকার কথা ছিল, তা তখনই বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া আমার মনে হয় আমরা ট্যাকটিক্যাল কিছু দরকারি স্টেপও নিতে পারিনি। সেটা যদি করতাম, তাহলে হয়তো চিত্র ভিন্ন হতে পারতো। ’
ফাহিম মনে করেন, ‘শান্তর দল সুপার এইটের শুরু থেকে আর একটু ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের সাথে খেললে ওই ২ ম্যাচে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো এবং বাংলাদেশের রানরেট বেটার থাকতো। ’
‘তাতে করে আমরাদের আজকের এই লক্ষ্যটা ১২.১ ওভারে না হয়ে ১৬ ওভারে হতে পারতো। তখন হিসেবটা খানিক সহজতর হতো। সেই সুযোগ ও সম্ভাবনার পথ আমরা নিজেরাই নষ্ট করেছি। আর একটু বেটার থাকতো। আমরা ডিজার্ভ করিনি, এত বড় লক্ষ্য অর্জন করবো। কিন্তু নিজেরা কোনো পরিশ্রম করব না, তা কী হয়? দলের যে পারফরম্যান্স, এত বড় কিছু পাওয়া উচিতও না। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিতে চাইলেন, কিন্তু আমরা নিতে চাইলাম না। ’
সেটা কী রকম? ফাহিম বলেন, ‘কোচের ওই মন্তব্যর পরই বোঝা গেছে, সুপার এইটে কোয়ালিফাই করার চিন্তাই ছিল বেশি। আর সে লক্ষ্য পূরণের সঙ্গে সঙ্গে দলের ভালো খেলার সুইচটা অফ হয়ে গিয়েছিল। আমরা সুইচ আর অন করতে পারিনি। অন করার চেষ্টা করেছি শেষ ম্যাচে এসে। যখন অন্য দলগুলোর কারণে সেমিতে খেলার একটা সুযোগ তৈরি হলো। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি হয়ে গেছে অনেক।’