মুন্সীগঞ্জে এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশের সার্ভিস সড়ক থেকে গুলিতে নিহত এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে তার পরিচয়ও নিশ্চিত করে পুলিশ। ওই তরুণীর নাম সাহেদা আক্তার (২২) ওরফে সাহিদা বেগম। মরদেহটি উদ্ধারের সময় এর পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। তাকে ওই মহাসড়কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে নাকি আশেপাশে কোথাও হত্যা করে সেখানে লাশ ফেলা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে তথ্য সংগ্রহ কছে পুলিশ।

নিহদ সাহেদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ির বরিবয়ান এলাকার আবদুল মোতালেবের মেয়ে। তিনি ঢাকার ওয়ারী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফিরোজ কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের সমসপুর এলাকার দোগাছি সার্ভিস সড়ক থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানান, সাহিদা রাজধানীর ওয়ারীতে তার ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন, কাজ করতেন একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে।

একটি ফোন কলের সূত্র ধরে তরুণীর পরিচয় শনাক্তের কথা জানিয়ে ফিরোজ কবীর বলেন, ‘ফিঙ্গারপ্রিন্টে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’

স্থানীয়রা জানান, শনিবার ভোরে ওই নারীকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার সামনে থেকে এক যুবকের সঙ্গে সড়কটিতে হেটে এগোতে দেখা যায়। তার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তরুণীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ মহাসড়কে পড়ে থাকতে দেখতে পান পথচারীরা। তরুণীর সঙ্গে থাকা ওই যুবককে স্থানীয়রা চিনতে পারেনি। তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের পিঠে একাধিক গুলির চিহ্ন ছিল। লাশের পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। তবে কে বা কারা ওই নারীকে গুলি করেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, সকাল আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পিবিআই, ডিবি পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সাহেদার হাতের আঙুলের চিহ্ন নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে শ্রীনগর থানায় নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিকেলে তার মাকে খবর দিলে তিনি থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সকালেই ঘটনাস্থলে যায়। বিকেলে ওই তরুণীর নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হয়। আশপাশের ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিছুর রহমান নিহত তরুণীর মায়ের বরাত দিয়ে জানান, রাজধানীর একটি বাড়িতে বাচ্চা পালনের কাজ করতেন সাহেদা। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে তিনি ওয়ারীর বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। আজ দুপুরের পরে তাঁর মা জানতে পারেন, মেয়ে গুলিতে মারা গেছেন। তবে কার সঙ্গে, কেন সাহেদা শ্রীনগরের দোগাছি এলাকায় এসেছিলেন, সেটি তাঁরা জানেন না। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।

Share