
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত শিক্ষার্থীদের দ্রুত চিকিৎসা দিতে সমস্যা দেখা দেয়, কারণ তাদের আইডি কার্ডে ছিল না রক্তের গ্রুপ, অভিভাবকের নাম বা যোগাযোগের নম্বর। যদিও সবার গলায় আইডি কার্ড ঝুলানো ছিল, সেখানে শুধুমাত্র নাম, শ্রেণি ও একটি কোড নম্বর ছিল- যা দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত করা বা চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডে কীভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুপস্থিত থাকতে পারে? ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
হতাহত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো থাকলেও তা কোনো কাজে আসেনি। তাতে ছিল না রক্তের গ্রুপ, অভিভাবকের নাম-পরিচয় কিংবা যোগাযোগের নাম্বার। এতে শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তসহ চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়েছে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা জানান, ‘আহতদের অনেকেই অজ্ঞান ছিলেন, ফলে তাদের রক্তের গ্রুপ বা অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে।’
একজন অভিভাবক, হ্যাপি আক্তার, বলেন, ‘এত বড় প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডে কোনো জরুরি তথ্য না থাকা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’
মাহমুদুল নয়ন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আইডি কার্ডে এমন তথ্য থাকা উচিত যাতে জরুরি প্রয়োজনে অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। কেবল কোড নম্বর দিয়ে হাসপাতালের পরিবেশে কাউকে শনাক্ত করা দুঃসাধ্য।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল (এডমিন) মো. মাসুদ আলম জানান, ‘পূর্বে নির্ধারিত ফরম্যাট অনুযায়ীই আইডি কার্ড তৈরি হতো, তবে সাম্প্রতিক ঘটনার পর তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। ভবিষ্যতে আইডি কার্ডে প্রয়োজনীয় সব তথ্য যুক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।’