মব সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে গণতন্ত্র মঞ্চের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক : মব সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে গণতন্ত্র মঞ্চ আহ্বান জানিয়েছে। দেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও মব সন্ত্রাস গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে। এমন পরিস্থিতির উত্তরণ না হলে অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি সুবিধাভোগী হবে বলে সতর্ক করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

আজ শনিবার ভাসানী জনশক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পরও দেশে আইনের শাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ধর্মের নামে মাজার ভাঙার যে প্রতিযোগিতা চলছে, তা থামাতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। উল্টো এসব ঘটনায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ের খবর উদ্বেগজনক। বিবৃতিতে এ ধরনের ঘটনার প্রতিরোধ ও প্রতিটি ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সব ধরনের ভাঙচুর, হামলা এবং অগ্নিসংযোগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের অরাজকতার সুবিধাভোগী হবে অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি, ফ্যাসিস্ট সরকার এবং সামগ্রিকভাবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা। এসব দুর্যোগ বাংলাদেশকে একটি উগ্রবাদী ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের অংশ ও সহযোগী জাতীয় পার্টির অবশ্যই বিচার হতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের আছে। কিন্তু বিচারবহির্ভূত সব হামলা, লুটপাট ও দখলচেষ্টা দেশে অরাজকতা তৈরি করছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।

Share