নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : এমন নাটকীয় ফাইনাল বিশ্বকাপ ক্রিকেট কখনো দেখেনি। ১৪ জুলাইয়ের সে ফাইনাল প্রথমে টাই হয়েছিল। সুপার ওভারে ম্যাচ গড়ালে সেখানেও টাই। শেষ বলে দুই রান নেওয়ার পথে রান আউট হয়েছিলেন রস টেলর। ম্যাচ ও সুপার ওভার মিলিয়ে বেশি বাউন্ডারি মারায় চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল ইংলিশদের। এমন হাস্যকর নিয়ম বদলানো হয়েছে কাল। আইসিসির এমন সিদ্ধান্ত সবাই সাদরে গ্রহণ করলেও খোঁচা মারতে ভোলেননি নিউজিল্যান্ডের লোকজন।
ফাইনালে নির্ধারিত ৫০ ওভারে দুই দলই ২৪১ রানে থেমেছিল। সুপার ওভারেও ১৫ ঠিক ঠিক রানই করেছে দুই দল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ১৭ বাউন্ডারির বিপরীতে ইংল্যান্ডের ২২ বাউন্ডারিই ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছিল সেদিন। টি-টোয়েন্টির সুপার ওভারের নিয়ম ওয়ানডেতে খাটানোর বুদ্ধিটা ইংল্যান্ডের পক্ষে গেলেও সেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ঠেকেনি।
আইসিসি তাই গতকাল এই বাউন্ডারির নিয়ম বদলে দিয়েছে। আইসিসির সব ধরনের টুর্নামেন্টেই আর এটি ব্যবহৃত হবে না বলে সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গ্রুপ পর্যায়ে যদি সুপার ওভার টাই হয় তবে ম্যাচও টাই হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। আর সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে একটিই পরিবর্তন আসছে। সেটা ক্রিকেটের একদম মৌলিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করা হয়েছে, প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি রান করতে হবে। যতক্ষণ কেউ প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি রান না নিচ্ছে, ততক্ষণ নতুন সুপার ওভার হবে।’
নতুন নিয়মটাই যে বেশি গ্রহণযোগ্য সেটা সবাই মানছেন। কিন্তু এতে যে নিউজিল্যান্ডের কোনো লাভ হচ্ছে না। ফাইনালে এমনিতেই কুমার ধর্মসেনার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে টাই মানতে হয়েছিল সেদিন। ওভার থ্রোর নিয়ম ভুল না করলে সেদিন নিউজিল্যান্ডই বিজয়ী হতো। এরপর সুপার ওভারেও বাউন্ডারির নিয়মে কপাল পুড়েছিল নিশামদের। সুপার ওভারে ব্যাট করা নিশাম তাই খোঁচা দিয়েছেন আইসিসিকে, ‘এরপরের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত: টাইটানিকের জন্য ভালো দুরবিন দেওয়া যাতে আইসবার্গ ভালো করে দেখা যায়।’
নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটিং কোচও রাগ লুকাতে পারেননি। টুইটে লিখেছেন, ‘বড় দেরি হয়ে গেল।’ এরপর যে সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচ টাই হয়েছিল সে সিদ্ধান্তও বদলানোর কথা ভেবে দেখতে বলেছেন ম্যাকমিলান। মার্টিন গাপটিলের থ্রো বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে সীমানা পেরিয়ে গেলে বাড়তি চার রান পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্যাকমিলান তাই প্রশ্ন রেখেছেন, ‘এবার অন্য সমস্যাগুলোর কথা ভাবা যায় কি আইসিসি… ব্যাটসম্যানের গায়ে বল লাগলে বা দিক পরিবর্তন করলে ডেড বল ঘোষণা করা।’
সেদিন ইংল্যান্ডকে ওভার থ্রোতে ৬ রান দিয়েছিলেন কুমার ধর্মসেনা। কিন্তু সাবেক বিশ্বসেরা আম্পায়ার সাইমন টফেল দেখিয়ে দিয়েছেন, নিয়মে ইংল্যান্ডের পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল।