
সংশ্নিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর চ্যানেলে নাব্য সংকট নিরসনে দিনরাত ড্রেজিং করা হচ্ছে। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির তিনটি শক্তিশালী ড্রেজার ও স্থানীয় আরও চারটিসহ মোট সাতটি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ করা হচ্ছে। অবশ্য নদী শাসনের দায়িত্বে থাকা সিনোহাইড্রো কোম্পানির উচ্চক্ষমতার তিনটি ড্রেজার জাজিরা প্রান্তে নিয়োজিত থাকায় নাব্য ফিরিয়ে আনার কাজ কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
প্রকৌশলীরা জানান, সেতুর মাওয়া প্রান্তের ওয়ার্কশপে ষষ্ঠ স্প্যানসহ দুটি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। চীন থেকে রওনা হয়ে সমুদ্র পথে মংলা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছানোর অপেক্ষায় রয়েছে আরও দুটি স্প্যান। শিগগিরই সে দুটিও মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আনা হবে। এ পর্যন্ত ১৯টি স্প্যান চীন থেকে মাওয়া প্রকল্প এলাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে পাঁচটি স্প্যান স্থায়ীভাবে জাজিরা প্রান্তে খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়েছে। অপর একটি স্প্যান মাওয়া প্রান্তের খুঁটির ওপর বসানো হয়েছে। বাকি ১৩টি রয়েছে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। এর মধ্যে দুটি শতভাগ প্রস্তুত ও সাতটির রঙের কাজ শেষ পর্যায়ে। অপর তিনটি স্প্যান এখন ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিং করে ফিটিং করা হচ্ছে। একটি স্প্যান ফিটিংয়ের জন্য এর খণ্ডিত যন্ত্রাংশ রাখা আছে ইয়ার্ডে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চীনে আরও কয়েকটি স্প্যান তৈরির কাজ সম্পন্ন হলেও আনা হচ্ছে ধীর গতিতে। তবে এখন যেভাবে পদ্মার বুকে খুঁটি মাথা উঁচু করে উঠছে, তাতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একের পর এক স্প্যান খুঁটির ওপর বসতে থাকবে।
এদিকে, সেতুতে বসে যাওয়া স্প্যানের ওপর রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ চলছে। এর মধ্যে ১১২টি রেলওয়ে স্লাব বসে গেছে। একের পর এক বসবে তিন হাজারে বেশি স্লাব। এছাড়া রোডওয়ে স্লাব তৈরি হচ্ছে পদ্মার দুই পাড়েই।
গত ৯ ও ১০ জানুয়ারি পদ্ম সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাসিক অগ্রগতি সভায় সেতুর কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় যে কোনো বাস্তবতা মোকাবেলা করে দ্রুত কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্নিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
