করোনা মোকাবেলায় মাইক্রোবায়োলজিস্ট পদ সৃস্টির দাবি

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যখাতে এবং করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় অণুজীববিজ্ঞানীদের (মাইক্রোবায়োলজিস্ট) পদ সৃষ্টি ও নিয়োগদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট ( বিএসএম)। সম্প্রতি কোভিড-১৯ সুষ্ঠূভাবে সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস সরকারের এই সময়োচিত সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ।

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. আর. এম. সোলাইমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, বর্তমানে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে একমাত্র নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো আরটি-পিসিআর। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুজীববিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা এই আধুনিক পদ্ধতিটি সম্পর্কে বিশদভাবে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। তারই ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে আরটি-পিসিআর মেশিন দ্বারা কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ, গবেষণাগার স্থাপনা, আরটি-পিসিআর পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণের কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্নাতক অণুজীব বিজ্ঞানীরা দক্ষতার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।

উল্লেখ্য যে, কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবীমা কিংবা আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শুধুমাত্র দেশপ্রেম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তারা এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অবদান রেখে চলেছেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট(বিএসএম) উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাগার থেকে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণে ভুল ফলাফল পাওয়ার সংবাদ আসছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই পরীক্ষার ফল ভুল আসার বিষয়টি নিঃসন্দেহে কাম্য নয়। উপরন্তু, পরীক্ষার সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষাবিধি অনুসরণ না করতে পারলে পরীক্ষাগার থেকেই ভাইরাস সংক্রমণের মতো ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতে পারে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রয়োজন বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি মানসম্পন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র ও গবেষণাগার, যেখানে অণুজীববিজ্ঞানীদের ভূমিকা অপরিহার্য। কারণ, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী অণুজীববিজ্ঞানী মাত্রই রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া নিয়ে সঠিক ভাবে সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করে কাজ করার জন্য তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে। শুধু আরটি-পিসিআর মেশিন নয়, কোভিড-১৯ সহ অন্য সকল সংক্রামক রোগ মোকাবেলায় চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের পাশাপাশি অণুজীববিজ্ঞানীদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (মাইক্রোবায়োলোজিস্ট) হিসাবে নিয়োগদানের জন্য বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টস দাবি জানাচ্ছে।

Share