নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুসারে এই রিপোর্ট লেখার সময় বিশ্বে এই মুহূর্তে করোনায় শনাক্ত রোগী দুই কোটি ২৪ হাজার ২৬৩ জন।
এছাড়া পরিসংখ্যানের তথ্যানুসারে, এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে সাত লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৮ জন।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৫২ লাখ, মৃত্যু ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি জনের।
এরপরের অবস্থান ব্রাজিলের। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২ জন, মারা গেছে ১ লাখ ১হাজার ১৩৬ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে দেশটিতে আক্রান্ত ২২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৬৬ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে সর্ব প্রথম করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এর পর একে একে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৫ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
দেশে করোনায় আরও ৩৯ মৃত্যু, শনাক্ত ২৯০৭ : দেশে নতুন করে ২ হাজার ৯০৭ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১২ হাজার ৮৪৯টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এসব পরীক্ষায় নতুন করে ২ হাজার ৯০৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জন।
ডা. নাসিমা জানান, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৯ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৮ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ২ হাজার ৬৭ জন সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়া ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।