নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা আতঙ্ক। এর মধ্যে করোনা এড়াতে নারী পুরুষের শারীরিক নৈকট্যের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যারিটি ট্যারেন্স হিগিন্স ট্রাস্ট। তাদের মতে, শারীরিক মেলামেশার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, চুমু খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং যতটা সম্ভব মুখোমুখি হওয়া যাবে না।
লকডাউন শুরুর পর থেকেই স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে টিএইচটি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে সামাজিক দূরত্বের কারণে মানুষের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠ হওয়ার হার অনেকাংশে কমছে। মানুষ করোনা আতঙ্কে কাছে আসাও কমিয়ে দিয়েছে। কয়েকমাসের লকডাউনের পর টিএইচটি বলছে, যৌনতা থেকে মানুষকে দূরে থাকতে বলা নতুন কোন বিষয় নয়।
এক্ষেত্রে মাস্টারবেশন, সেক্স টয় এর ব্যবহার, ফোন বা অনলাইন সেক্সে অংশগ্রহণ করা নিরাপদ মনে করা হচ্ছে। যদি বাড়ির বাইরে কারো সাথে যৌন মিলন করা হয় সেক্ষেত্রে সঙ্গীর সংখ্যা সীমিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সঙ্গীর কভিড পরীক্ষা করা উচিত এবং তার পরিবারের কেউ করোনা পজেটিভ কিনা সে বিষয়েও খোঁজ নেওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে যদি শরীরে কোন রকম সমস্যা বা ভালো না লাগে সেক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক না করার পরামর্শ দিয়েছে চ্যারিটি। আর যদি শরীরে সামান্যতম উপসর্গ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আইসোলেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবার শারীরিক সম্পর্কের আগে ও পরে ২০ সেকেন্ডে ধরে হাত ধুতে হবে। সেই সাথে শারীরিক সম্পর্কের সময় মাস্ক পরে চুম্বন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি দুজন যেনো মুখোমুখি না হয় সেক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সচেতনতার অংশ হিসেবে কনডম ব্যবহার করা যেতে পারে।
টিএইচটির মেডিক্যাল ডিরেক্টর মাইবেল ব্র্যাডি বলছেন, সেক্স জীবনেরর খুব গুরুত্বপূ্র্ণ অংশ এবং মানুষকে যৌনতা এড়াতে বলা বাস্তবধর্মী সিদ্ধান্ত না। তবে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা থেকে দূরে থাকাই করোনা থেকে মুক্ত থাকার ভালো উপায়।
এই নির্দেশেকাগুলো মেনে চললে করোনার সময়ে নিয়ম মেনে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়া সম্ভব বলে বলছে টিএইচটি।