ক্রেডিট কার্ডে সুদ ২০ শতাংশ পর্যন্ত

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ব্যাংকগুলোর ক্রেডিট কার্ডে সুদহারের সীমা বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিতে পারবে। বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ১৪ শতাংশের বেশি সুদ নেওয়ার সুযোগ নেই। যদিও কোনো ব্যাংক সুদহারের এই নির্দেশনা মানে না।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ক্রেডিট কার্ড পরিচালনার নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলো অন্য যেকোনো ঋণের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। ফলে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ সুদ হওয়ার কথা ১৪ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আগস্টে ব্যাংকগুলো যে ঘোষণা দিয়েছে সেখানেই ২৭ শতাংশ সুদ নির্ধারিত আছে কোনো কোনো ব্যাংকের। আর অধিকাংশ ব্যাংকের সুদহার রয়েছে ২০ থেকে ২৪ শতাংশ। কোনো কোনো ব্যাংক ১৪ শতাংশ সুদের ঘোষণা দিলেও তা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে।

এরকম প্রেক্ষাপটে জারি করা সার্কুলারের শুরুতে ক্রেডিট কার্ড পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালার কথা উল্লেখ করে বলা আছে, নীতিমালার অনুচ্ছেদ ১২(সি) অনুযায়ী- অন্য ঋণের সর্বোচ্চ সুদহারের চেয়ে ক্রেডিট কার্ডে ৫ শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা যাবে না। আর ক্রেডিট কার্ডের এই সুদ কেবল অপরিশোধিত বকেয়া স্থিতির ওপর প্রযোজ্য হবে। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো ব্যাংক অযৌক্তিকভাবে বেশি সুদ আদায় করছে যা গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুন্ন করছে। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের অপরিশোধিত বকেয়া বিলের ওপর লেনদেনের তারিখ থেকেই সুদ আরোপ এবং অপরিশোধিত বিলের বিপরীতে অতিরিক্ত বিলম্ব ফি আদায় করছে। এছাড়া মোট সীমার ৫০ শতাংশের বেশি নগদ উত্তোলন না করার নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংক তা মানছে না বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে ২০ শতাংশের বেশি সুদ নেওয়া যাবে না। ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের পরের দিন থেকে অপরিশোধিত বিলের ওপর সুদ আরোপযোগ্য হবে। কোনোভাবেই লেনদেনের তারিখ থেকে সুদ আরোপ করা যাবে না। বিদ্যমান নীতিমলার আলোকে ক্রেডিট কার্ডের নির্ধারিত সীমার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ নগদ উত্তোলন করা যাবে। অন্য কোনো নামেও গ্রাহককে এর চেয়ে বেশি নগদে উত্তোলন সুবিধা দেওয়া যাবে না। বিলম্বে পরিশোধিত কোনো বিলের বিপরীতে শুধু একবার বিলম্ব ফি আদায় করা যাবে। অন্য কোনো নামে বাড়তি ফি নেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ইস্যুকৃত মোট কার্ড রয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ। এর মধ্যে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা এক কোটি ৯৭ লাখ। আর ক্রেডিট কার্ড ১৬ লাখেরও কম। বাকি ৬ লাখের মতো রয়েছে প্রিপেইড কার্ড।

Share