জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রবিবার সকালে মিয়া সেপ্পোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (জাতিসংঘ অনুবিভাগ) মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের দপ্তরে তলব করা হয়। দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, মুক্তভাবে নিজের মতপ্রকাশের জন্য বুয়েট ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে জাতিসংঘের বিবৃতিতে, যা সঠিক নয়। এছাড়া উন্নত বিশ্বে যখন কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়ানো হয়। এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কাছে।

ঐ কর্মকর্তা আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে অনেকেই আলোচনা-সমালোচনা করেছেন। কিন্তু সরকার কাউকে বাধা দেয়নি। এমনকি আবরার ফেসবুকে কী লিখেছে, তা সরকারও জানে না।

উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার।

এরপর গত রবিবার রাতে আবরারকে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে বেধড়ক পেটান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ও লাঠিসোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করা হয়। নির্মম পিটুনিতে আবরার মারা যান।

এ ঘটনার পর এক বিবৃতিতে আবরার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান করা হয় জাতিসংঘের বিবৃতিতে।

Share