‘আইনজীবী’ হওয়ায় জান্নাতুল পিয়াকে ক্রেডিট কার্ড দেয়নি এমটিবি

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) বিরুদ্ধে পেশাগত পরিচয়ের কারণে ক্রেডিট কার্ড না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মডেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জান্নাতুল পিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে ফোন করা হলেও শুধু তার ‘আইনজীবী’ পরিচয়ের কারণে তাকে কার্ড দেওয়া হয়নি।

গত সপ্তাহে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অনাকাঙ্ক্ষিত এ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন জান্নাতুল পিয়া। তিনি লিখেছেন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে এক নারী প্রতিনিধি ক্রেডিট কার্ড বিষয়ে তাকে ফোন দেন। এক পর্যায়ে সেই প্রতিনিধিকে পিয়া জানান তিনি সুপ্রিম কোর্টে কাজ করেন। এরপর প্রতিনিধি জানতে চান পিয়া উকিল কী না? উত্তরে তিনি ‘হ্যাঁ’ বললে ব্যাংকের ওই প্রতিনিধি জানান তারা আইনজীবীদের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেন না।

কালবেলা পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ বিষয়ে আইনজীবী জান্নাতুল পিয়া কালবেলাকে বলেন, ‘আমি জানতে চাই তাদের (এমটিবি) উদ্দেশ্য কী। তারা কি জালিয়াতি করতে চায়? সাধারণ মানুষ সাধারণত জালিয়াতি ধরতে পারে না। কিন্তু আইনজীবী, পুলিশ বা সাংবাদিকরা ধরে ফেলবে; এটাই কী তাদের ভয়?নাকি কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় কোনো ভয় আছে। আইনজীবী, সাংবাদিক বা পুলিশের মধ্যে কেউ যদি খারাপ কিছু করে থাকে তার মানে কী অন্যরা সেই সুযোগটা পাবে না।খারাপ যদি কেউ থেকে থাকে তার জন্য তো দেশের আইনব্যবস্থা আছেই।’

জান্নাতুল পিয়া আরও বলেন, দ্বিতীয় কথা হচ্ছে ঋণখেলাপির কথা বলা হলে কজন সাংবাদিক, পুলিশ বা আইনজীবী ঋণখেলাপি বলেন। এই পেশাজীবীদের এত ভয় পাওয়ার কারণ কী। এই পেশাজীবীরা তো ভালো কাজও করছে। এমন কোনো ব্যাংক আছে যে ব্যাংকে আইন বিভাগ নেই। আইন বিভাগ ছাড়া কোনো ব্যাংক চলতে পারবে। আমার মনে হয় এই বিষয়গুলোতে আলোচনা হওয়া উচিত।’

জান্নাতুল পিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক তাকে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার জন্য যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। তবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকেই কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

পিয়া বলেন, ‘আমার স্ট্যাটাসে আমি তাদের মেনশন করেছি। অনেকেই কমেন্টে তাদের ট্যাগ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি।অন্য কয়েকটি ব্যাংক তাদের সেবা জানিয়ে যোগাযোগ করেছেন।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ থাকতে পারে। পেশাগতভাবে কাউকে কোনো ব্যাংকই অনুৎসাহিত করে না। কোনো ব্যাংক এমন করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে আমি জানি এমনটা কোনো ব্যাংক করে না।’

সার্বিক বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের মন্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে লিখিত প্রশ্ন ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ই-মেইলে প্রশ্ন পাঠালেও ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসেনি। ২৩ ফেব্রুয়ারি আবারও যোগাযোগ করা হলে ‘সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে যোগাযোগ করা হবে’ বলে প্রতিবেদককে ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

Share