নয়াবার্তা প্রতিবেদক : আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী (টিআরপি) হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর (বিসিএস) একাডেমির দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় ও আনোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর (বিসিএস) একাডেমি এ বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী বিধিমালা-২০২৩ প্রণীত হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী যেসব করদাতা প্রথমবারের মতো আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন, তাদের আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত ও দাখিল করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারীর তালিকা করবে।
আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন আহ্বান করা হয়। এরপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারীর সনদ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তি ও সংশ্লিষ্ট বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মহাসচিব মো. খোরশেদ আলম এবং ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদ উজ্জামান খান রিট করেন।
২০২৩ সালের আয়কর আইনের বিধানবলে ওই বিধিমালাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, আইনে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী নামে কিছু নেই। অথচ গত বছরের ২৬ জুন জারি করা ওই বিধিমালায় ‘আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী’ উল্লেখ রয়েছে, যা আইনসম্মত নয়। এমনকি আয়কর প্রস্তুতকারীদের প্রণোদনা দেওয়ার কথাও আইনে নেই, মূলত এমন যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
এ আইনজীবী আরও বলেন, হাইকোর্ট ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। অর্থাৎ, আয়কর রিটার্ন প্রস্তুকারীদের তালিকা নিবন্ধনের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেল। ফলে আইনজীবীসহ যে কেউই আগের মতো আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।