স্পোর্টস ডেস্ক : গ্রামের খেলায় ছক্কা মারলে বল হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া বল লুকিয়ে খোঁজার ভনিতাও চলে। ইংল্যান্ড ব্যাটার ডেভিড ম্যালানের ছক্কাও তেমনি মাঠ পেরিয়ে ঝোপে হারিয়ে গেল। ইংলিশ ব্যাটারদের নিষ্ঠুর ব্যাটিং থেকে মুক্তি পেতে ডাচরাও বলটা লুকিয়ে খুঁজলেও পারতো। তাতে অল্পের জন্য নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ মিলতে।
কারণ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ১ রানে ১ উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন ইংলিশ ব্যাটার ফিলিপ সল্ট, ডেভিড ম্যালান এবং জস বাটলার সেঞ্চুরি করেছেন। লিয়াম লিভিংস্টোন ২২ বলে করেছেন ৬৬। তাদের ঝড়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে রেকর্ড ৪৯৮ রান করেছে ইংল্যান্ড।
ওয়ানডে ফরম্যাটে আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৮১। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৮ সালে ওই রান করেছিল ইংল্যান্ড। সেবার জনি বেয়ারস্টো-অ্যালেক্স হেলস অজিদের পাগল করে ছেড়েছিল।
এবার বাটলার-লিয়াম লিভিংস্টোন কাঁদিয়ে ছাড়লেন ডাচ বোলারদের। এ নিয়ে ওয়ানডের তিনটি সর্বোচ্চ সংগ্রহই হলো ইংল্যান্ডের। তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৪৪ রান ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। শেষ দুটি বিগ স্কোর হয়েছিল নটিংহ্যাম ফরেস্টে। সর্বোচ্চ রানটা হলো নেদারল্যান্ডসের আর্মসটেলভিনে।
ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় ওভারে দলটি সাফল্যও পায়। কিন্তু সিদ্ধান্ত যে ঠিক হয়নি সেটা বুঝতে সময় লাগেনি। ওপেনার জেসন রয় ও তিনে নামা সল্ট দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করেন। জুটি গড়েন ২২২ রানের।
ফিলিপস খেলেন ৯৩ বলে ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ১৪টি চারের সঙ্গে তিনি ছক্কা তোলেন তিনটি। ম্যালান ১০৯ বলে করেন ১২৫ রান। তার ব্যাট থেকে নয়টি চার ও তিনটি ছক্কা দেখা যায়।
এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু এরপরে বাটলার ও লিভিংস্টোন টর্নেডো দেখিয়েছেন। ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটার খেলেছেন মাত্র ৭০ বলে হার না মানা ১৬২ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে চার বেরিয়েছে মাত্র সাতটি। তিনি ছক্কা দেখিয়েছেন ১৪টি।
দলের রানটা পাঁচশ ছোঁয়া হতে বড় ভূমিকা লিভিংস্টোনের। লেগ স্পিন অলরাউন্ডার ২২ বলে ছয়টি চার ও ছয়টি ছক্কায় পুরো তিনশ’ স্ট্রাইক রেটে ৬৬ রান করেছেন। নেদারল্যান্ডসের ফিলিপ বসিভেইন ১০ ওভারে রেকর্ড ১০৮ রান দিয়েছেন। শেন স্নাটার ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৯ রান।