একজন মানুষ কয়বার জন্মায়, মির্জা ফখরুলের কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তখন সরকারি নথিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ১৯ আগস্ট ১৯৪৭ সাল। আর বর্তমানে যে পাসপোর্ট তিনি ব্যবহার করছেন সেখানে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল। মেট্রিক পরীক্ষার ফরমে খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। আবার তার বিবাহ সনদে জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। অতি সম্প্রতি তিনি যে করোনার টেস্ট করেছেন, সেখানে তার জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৮ মে ১৯৪৬ সাল।অর্থাৎ সরকারি নথির কোনো জায়গায় বেগম খালেদা জিয়ার জন্মের তারিখ ১৫ আগস্ট উল্লেখ নেই। অথচ বিএনপি’র পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ দাবি করে কেক কাটা হয়’।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ এই তথ্য গুলো উপস্থাপন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রশ্ন রেখে জানতে চেয়েছেন যে,‘একজন মানুষ কয়বার জন্মায়’ ‘আপনারা বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ-ছ’টি জন্মের তারিখ দিয়ে কেন বারবার জন্মগ্রহণ করালেন!’

‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখ ব্যবহার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’ রবিবার হাইকোর্টের এই রুল জারির পর মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন।

বেগম জিয়ার পাসপোর্ট ও করোনা টেস্ট রিপোর্টে তার জন্ম তারিখের চিত্র নিজের আইপ্যাড থেকে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, মেট্রিক পরীক্ষার ফরমে খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। আবার তার বিবাহ সনদে জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৪ সাল।

১৯৯১ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তখন সরকারি নথিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ১৯ আগস্ট ১৯৪৭ সাল। আর বর্তমানে যে পাসপোর্ট তিনি ব্যবহার করছেন সেখানে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল। অতি সম্প্রতি তিনি যে করোনার টেস্ট করেছেন, সেখানে তার জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ৮ মে ১৯৪৬ সাল। ক’টি জন্ম তারিখ হলো!’

‘কোনো সরকারি নথিতে কোনো জায়গায় বেগম খালেদা জিয়ার জন্মের তারিখ ১৫ আগস্ট উল্লেখ নাই, অথচ বিএনপি’র পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ বলে ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয়’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয় সেদিনের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য, ১৫ আগস্টের এই মর্মান্তিক ঘটনাকে উপহাস করার জন্য।’

‘আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা বেগম খালেদা জিয়ার জন্মের তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন এবং তারা আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন, আদালতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন’ বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘একজন মানুষের পাঁচটা জন্মতারিখ হওয়া মানে তার জন্মের তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, এটা তারাই করেছেন। সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বপ্রণোদিতভাবে এই বিষয়টি বলেনি। আদালত নির্দেশনা দিয়েছে বিধায় সরকারকে আদালতে সমস্ত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।’

Share