WordPress database error: [Disk full (/tmp/#sql_140a_0.MAI); waiting for someone to free some space... (errno: 28 "No space left on device")]
SHOW FULL COLUMNS FROM `nb_postmeta`

কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল বন্ধ, সৈকতে যাওয়া নিষেধ

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সব হোটেল–মোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। রোববার রাতে কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিললুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৈকতে পর্যটকসহ লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে সৈকতে যেন কেউ নামতে না পারেন, সে জন্য পুলিশের পাহারা বসানো আছে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোও বন্ধ আছে।

গণপরিবহন চালু ও হোটেল-রেস্তরাঁ খোলা রাখার ঘোষণার পর আশার আলো দেখেছিলেন সেখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে কমিটির এমন সিদ্ধান্তে হতাশ তারা। পুরো সৈকত এখন ফাঁকা। হোটেল-মোটেলও বন্ধ।এ অবস্থায় হোটেল-মোটেলের কর্মচারীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, ১লা এপ্রিল থেকে সৈকতে পর্যটক সমাগম নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। ঘোষণার আগে মার্চে বেতন–ভাতা পরিশোধ না করেই অন্তত ৩০ হাজার কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছেন হোটেল মালিকরা। এখনো অধিকাংশ কর্মচারীর মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন–ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। বেশির ভাগ কর্মচারী মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। সরকারি প্রজ্ঞাপনে হোটেল-রেস্তরাঁ খোলা রাখার ঘোষণায় কর্মচারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও এখন হতাশ সবাই।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, করোনা সংক্রমণের দিক থেকে কক্সবাজার এমনিতে ঝুঁকিতে আছে। এ অবস্থায় সৈকতে লোকসমাগম ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সবকিছু আগের মতই চলবে, হোটেল–মোটেল বন্ধ থাকবে। তবে রেস্তোরাঁগুলো শর্ত সাপেক্ষে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে।

Share