কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করে রকেট হামলা

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : আফগানিস্তানের কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর লক্ষ্য করে আজ সোমবার একাধিক রকেট ছোড়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

কাল ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হলো।

কাবুল বিমানবন্দর বর্তমানে মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সামরিক-বেসামরিক লোকজন সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কাল ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ মুহূর্তে লোকজনকে সরিয়ে নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে আবার ড্রোন হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, কাবুলে চালানো এই ড্রোন হামলায় কয়েকজন আত্মঘাতী হামলাকারী নিহত হয়েছে। তারা হামলার উদ্দেশ্যে কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা আইএসকেপির জঙ্গিদের নিশানা করে মার্কিন ড্রোন হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হলো।

আফগানিস্তানের আগের প্রশাসনে কাজ করা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, কাবুলের উত্তর দিক থেকে এই রকেটগুলো ছোড়া হয়। একটি গাড়ি থেকে রকেটগুলো ছোড়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর লক্ষ্য করে অন্তত পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে।

কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কাবুলের অধিবাসীরা এই প্রতিরোধব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার শব্দ শুনেছেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ছোড়া রকেট ঠেকিয়ে দিয়েছে সেখানে স্থাপিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। তাঁরা আকাশে রকেট ঠেকানোর আলামত দেখেছেন।

কাবুল বিমানবন্দরে স্থাপিত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সব কটি রকেট ঠেকিয়ে দিতে পেরেছে কি না, তা পরিষ্কার নয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর লক্ষ্য করে কারা রকেট ছুড়েছে, তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে কাবুলে আইএসকেপি আরও হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গত বৃহস্পতিবার কাবুলে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ জন নিহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করে আইএসকেপি।

পরদিন শুক্রবার আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় কাবুলে হামলার পরিকল্পনাকারীসহ আইএসকেপির দুই জঙ্গি নিহত হন।

কাবুলে আরও হামলা হতে পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন সতর্কতার মধ্যে গতকাল আবার ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

Share