নয়াবার্তা প্রতিবেদক : কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বলেছেন, ‘কুমিল্লায় এত বেইমান-মোনাফেক আছে, এই সিটি নির্বাচনের আগে আমিও জানতাম না। প্রশাসনের পাশাপাশি দলের কিছু নেতাও সাক্কুর টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে।’
মনিরুল হক সাক্কু সম্পর্কে সংসদ সদস্য বলেন, ‘সাক্কু চোর মেয়র ছিল। টাকা এনে দিয়েছি আমি। লুট করে খেয়ে ফেলেছে। তার বিচার হবে।’
গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে কুমিল্লা শিক্ষক সমাজ আয়োজিত এক আনন্দ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাহাউদ্দিন এসব কথা বলেন। বাহাউদ্দিন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে বাহাউদ্দিন বলেন, ‘কিছু নেতার কুকর্মের কারণে কুমিল্লাকে এগিয়ে নিতে পারছি না। একটি কুচক্রী মহল এ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। এ নির্বাচনে কিছু সুযোগসন্ধানী প্রশাসনের কর্মকর্তা নৌকার বিরুদ্ধে নেমেছিল। কালো টাকা দিয়ে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে কিনেছিল সাক্কু। তদন্ত করে সেই কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হবে।’
সংসদ সদস্যের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি চুরি করলে সরকার আছে, দুদক আছে। তারা দেখবে। নির্বাচন করাতে আমি চোর হয়ে গেলাম।’
আনন্দ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরফানুল হক। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান, আতিকুল্লাহ খোকন, আরফানুল হকের সহধর্মিণী ফারহানা হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে যান টানা দুবারের মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু)।