কূটনৈতিক প্রতিবেদক : সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বুধবার স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এক ব্যক্তি। ইরাক থেকে আসা অভিবাসী সলমন মোমিকা ঈদুল আজহার দিন মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে এ ঘটনা ঘটান। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তুরস্ক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, উদ্ধত পশ্চিমাদের আমরা একসময় শিক্ষা দেবো যে, মুসলিমদের অপমান করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়।
মরক্কো ও জর্ডান এ ঘটনার প্রতিবাদে স্টকহোম থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরে আসতে বলে। মরক্কোর রাবাতে সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়। মিশর জানায়, যখন মুসলিমরা ঈদুল আজহা পালন করছে, তখন এ লজ্জাজনক ঘটনা বিশেষভাবে উস্কানিমূলক।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এ ঘটনা আইনগতভাবে বৈধ হলেও অনুচিত ছিল।
সুইডেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, মোমিকাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনের আওতায় মসজিদের বাইরে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে, কোরআন পোড়ানোর পর পুলিশ বলছে, তারা এখন ঘৃণা উস্কে দেওয়ার দায়ে ঘটনাটি তদন্ত করছে।
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে এর আগে দাঙ্গা হয়েছে। ন্যাটো সদস্য তুরস্ক এর আগে সুইডেনকে এ জোটের সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেনি এবং এর একটি কারণ হিসেবে এ ধরনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে। কারণ, এর আগেও সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়েছে।