নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ঈদুল ফিতর আসন্ন। এই সময়ে রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর যে চাপ থাকার কথা তা দেখা যায়নি। গাবতলী একরকম ফাঁকাই, ঘরমুখো মানুষের তেমন ভিড় নেই বাস কাউন্টারগুলোতে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর টেকনিক্যাল, গাবতলী বাস টার্মিনাল ও গাবতলী রজব আলী মার্কেট স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের ভিড় নেই। কাউন্টার থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যাচ্ছে শিডিউল মেনেই। রাস্তার অবস্থাও তুলনামূলক ভালো থাকায় যানজট অজুহাতও নেই এবার। গাবতলী পর্বতা, আমিনবাজার পর্যন্ত দেখা গেছে ফাঁকাই।
পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, আজ ২৭ রমজান। আগামীকাল আবার সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। সে হিসেবে চাপ যা ছিল তা ১৮ এপ্রিল। তাই গাবতলীতে চাপ নেই। ঈদের আগে আরেকবার চাপ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত।
টেকনিক্যাল শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা সুমন বলেন, যাত্রীর চাপ ছিল গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেল থেকে। অনেক যাত্রীতো কাউন্টারে মালামাল রেখে অফিস করতে গেছে। কেউ কেউ শুধু হাজিরা দিয়েই গাড়িতে উঠেছেন। রাতে ছিল সবচেয়ে বেশি যাত্রী। তবে অন্যান্য ঈদের ন্যায় এবার যাত্রীর ভিড়টা লক্ষ্য করা যায়নি।
শাহজাদপুর পরিবহনের পাবনার যাত্রী সাইফুজ্জামান বলেন, রাতেই চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় বাড়ি যাওয়া পেছাতে হয়েছে একদিন।
সরকার ট্রাভেলসের যাত্রী মোস্তফা মোহাম্মদ বলেন, এবার ভাবছিলাম ঈদ যাত্রা খুবই নাজুক হবে। গরম যানজট মিলিয়ে শঙ্কা ছিল। কাউন্টারে কোনো চাপ নেই। শিডিউল বিপর্যয়ও নাই। ৫/৬ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাব মায়ের কাছে।
গাবতলী রজব আলী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কাউন্টারে যাত্রী নেই। অর্ধশত কাউন্টারের মধ্যে বেশ কিছু বন্ধ।
আল হামরা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টার বাস সময়মতো ছেড়ে গেছে গন্তব্যের উদ্দেশে। অন্য বছরের মতো ভিড় নাই, পাইনি যানজটের খবরও।
যাত্রী কম থাকার পেছনে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এবার অনেকে আগেই পরিবার রেখে আসছেন। আবার ২০ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করায় ২৭ রমজান উপলক্ষ্যে একটা বড় অংশ গতকালই চলে গেছেন।
আল হামরা পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন যাত্রী কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, গাবতলীতে এবার দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীর ভিড় নাই। দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা যাচ্ছেন পদ্মা সেতু হয়ে। আবার পাবনার অনেক যাত্রী এবার যানজট এড়াতে ও সময় বাঁচাতে আরিচা হয়ে যাচ্ছেন। অনেক বছর পর এবারই প্রথম খুবই সুন্দর ঈদযাত্রা হচ্ছে। শুধু গরমটাই বেশি। বাসের ভাড়াও গত বছরের মতো রয়ে গেছে, বাড়ানো হয়নি।