চিকিৎসককে জরিমানার অর্থ ফেরত দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউন নিশ্চিতে প্রশাসনের অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রেজাউল করিম নামের এক চিকিৎসককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব শাত-ঈল-ইভান। শনিবার এ অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার অর্থদণ্ডের টাকা চিকিৎসক রেজাউল করিমকে ফেরত দিয়েছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, সারা দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন নিশ্চিতে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়ন বাজারে চিকিৎসক রেজাউল করিমের মালিকানাধীন ‘পপুলার ফিজিওথেরাপি’ নামের প্রতিষ্ঠানে রোগীদের ভিড় দেখতে পান ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব শাত-ঈল-ইভান। ওই সময় চিকিৎসক রেজাউল করিমকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য সতর্ক করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

পরদিন শনিবার আবারো কাকাইলছেও ইউনিয়ন বাজারে পপুলার ফিজিওথেরাপি সেন্টারে গিয়ে রোগীদের ভিড় দেখতে পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পপুলার ফিজিওথেরাপি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী চিকিৎসক রেজাউল করিমকে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব শাত-ঈল-ইভান। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার চিকিৎসক রেজাউল করিমকে জরিমানার টাকা ফেরত দেয়া হয়।

জরিমানার বিষয়ে চিকিৎসক রেজাউল করিম বলেন, করোনা সংক্রমণের এ পরিস্থিতিতে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলাম। চেম্বারে রোগীরা মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন। এরপরও জরিমানা করায় আমি মর্মাহত হয়েছি। তবে সোমবার জরিমানার অর্থ ফেরত দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মতিউর রহমান খান বলেন, দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চিকিৎসক আপিল করেছিলেন। তিনি একজন করোনাযোদ্ধাও। এ দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তার জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। তাকে জরিমানার ২০ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।

Share