জনম দুঃখী রিয়া চায় মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ছেলে না হয়ে মেয়ে হওয়ায় পিতা ত্যাজ্য জনম দুঃখী রিয়া তার মায়ের সুখের জন্য একটি সরকারি চাকুরীর প্রত্যাশায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। জন্মের পর পরই রিয়ার পিতা তাকে ও তার মাকে ত্যাগ করে দ্বিতীয় বিয়ে করে। জন্মের পর থেকে রিয়ার মা কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রিয়াকে লেখা পড়া শিখিয়েছেন। রিয়া এখন কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী। সে চায় তার মায়ের মুখে হাসি ফোঁটাতে।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রমের আলী নেওয়াজ ভূঁইয়ার আট সন্তানের মধ্যে ষষ্ট কন্যা ইয়াসমীন আক্তার ভূঁইয়া রিয়ার মা। ২০০৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার উত্তর দাররা গ্রমের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মাজেদুল ইসলামের সাথে ইয়াসমীন আক্তার ভূঁইয়ার বিয়ে হয়। ২০০৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর রিয়ার জন্মের পর রিয়ার পিতা মাজেদুল ইসলাম রিয়া ও রিয়ার মাকে ত্যাগ করে। মাজেদুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে ওমান চলে যায়। সেই ঘরে মাজেদুল ইসলামের তিন ছেলে জন্ম নেয়। এলাকার সম্পন্ন কৃষক মাজেদুল ইসলাম তার দ্বিতীয় সংসার নিয়ে মহাসুখে জীবন যাপন করছেন।

অন্যদিকে রিয়ার মা ইয়াসমীন আক্তার কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে স্বামী বিতাড়িত হয়ে পির্তৃ গৃহে ফিরে আসে। গত ২০ বছর এলাকায় বুট ছোলা ডালপুরি ভাজির ব্যবসা করে একমাত্র যক্ষের ধন রিয়াকে লেখা পড়া করাচ্ছেন। দশম শ্রেনীর ছাত্রী অবস্থায় বিয়ে হয়ে যাওয়ায় নিজে আর লেখা পড়া করতে পারেননি। তাই তিনি চান তার মেয়ে রিয়া লেখা পড়া শিখে আত্মনির্ভরশীল হোক। নিজের পায়ে দাঁড়াক। ভবিষ্যতে নারীত্বের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাক। মানুষ হিসাবে প্রতিষ্টিত হোক।

আর রিয়া চায় তার মায়ের কষ্টের জীবনের অবসান। আর তাই মায়ের সুখের জন্য সেনা বাহিনী, পুলিশ কিংবা অন্য কোন সংস্থায় একটি সরকারি চাকুরীর প্রত্যাশায় রিয়া প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদন বুকে চেপে রিয়া এক স্বপ্নীল স্বপ্নের জাল বুনছে।

Share