জানেন কী চুমু খেলে হয় ?

নয়াবার্তা ডেস্ক : চুমু ব্যাপারটির মধ্যেই অন্যরকম একটা উষ্ণতা থাকে। চুমু স্ট্রেস হরমোন কমায়, শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে চুমুর রয়েছে বিশেষ গুণ। ভালোবাসা ও স্নেহ প্রকাশ করার যেমন একটি সুন্দর উপায় তেমনি ভালোবাসা গ্রহণ করারও সুন্দর এক উপায় চুমু। প্রতিদিন একটি চুমু সত্যিই ডাক্তারকে দূরে রাখতে পারে।

“চুম্বন : জীবনের সবচেয়ে মধুর আনন্দগুলোর মধ্যে একটি সম্পর্কে আপনি যা জানতে চেয়েছিলেন” বইয়ের লেখক ডেমিরজিয়ান ব্যাখ্যা করেছেন চুমু আমাদের শরীর ও দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে চুমু : ভালো চুমু কেবলমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়। চুমু আমাদের শারীরবৃত্তীয়কেও এক ধরনের ব্যায়াম করতে সাহায্য করে যা আমাদের মনকে সতেজ ও পরিপূর্ণ রাখে।

ডেমিরজিয়ান বলেন, “আবেগজনিত চুম্বন আমাদের হৃদস্পন্দনকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে পুনরুজ্জীবিত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। চুমু আমাদের রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্তের সুস্থ ও স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

চুমু সুখী হরমোন বাড়ায় : ডেমিরজিয়ান বলেন, “আপনি যদি মানসিক চাপ অনুভব করেন বা অস্থিরতা অনুভব করেন, তবে একটু চুম্বন বা প্রেম আপনার কাছে অমৃত মনে হতে পারে। কারণ চুমু আপনার মনকে শিথিল করবে, পুনরুদ্ধার করে মনকে পুনরুজ্জীবিত করবে। চুমুর ফলে আমাদের মস্তিস্কে সেরোটোনিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিনের মতো আনন্দদায়ক রাসায়নিক নিঃসরণ হয়। এর ফলে দ্রুতই আপনি মানসিক অবসাদ বা চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

চুমু ক্যালোরি পোড়ায় : ৩০ মিনিটের ভারী ব্যায়ামের মতো না হলেও একটি মসৃণ জোরালো মেকআউট সেশন আমাদের শরীরে ৮ থেকে ১৬ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়াতে পারে। ডেমিরজিয়ান বলেন, “চুম্বন এবং প্রেম তৈরি করা একটি উত্তম ব্যায়াম হতে পারে যদি আপনি সম্পূর্ণরূপে তাতে অংশগ্রহণ করেন। আপনাকে ক্যালোরি বার্ন করতে হলে অবশ্যই চুমুটি আবেগপূর্ণভাবে অনুভব করতে হবে।

জার্মান এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সকল পুরুষরা কাজে যাওয়ার আগে তাদের স্ত্রীর কাছ থেকে সুন্দর চুমু খেয়ে যান তারা বেশি অর্থ উপার্জন করেন। কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে ওই পুরুষ বাড়ি থেকে খুশি মনে বের হওয়ার ফলে তাদের মন ভালো থাকে এবং কর্মক্ষেত্রে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। ডেমিরজিয়ান বলেন, “চুম্বনের সাথে আমাদের আত্মসম্মান, ভালবাসা এবং বন্ধনে আবদ্ধ থাকার সম্পর্ক রয়েছে।”

চুমু ক্যাভিটির সাথে লড়াই করে : চুমুর মাধ্যমে আমাদের মুখে লালার প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ সম্পর্কে ডেমিরজিয়ান বলেন, চুমু এমন একটি প্রক্রিয়া যার ফলে আমাদের মুখে লালা বৃদ্ধি পায়। এই অতিরিক্ত লালা আমাদের মুখে জমে থাকা ময়লা ও দাঁতের ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে। গার্গল করে মুখ পরিষ্কার করার চাইতে চুমু দিয়ে মুখ পরিষ্কারের মজা নিশ্চয়ই বেশি!

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : চুমুর মাধ্যমে যে লালারস বা স্যালাইভার আদানপ্রদান হয় তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। ২০১৪ সালে BioMed Central Ltd এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসমস্ত প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়মিত চুমু খায় তাদের শরীরে স্যালাইভার আদানপ্রদানের মাধ্যমে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

ব্যথা কমাতে সাহায্য করে : অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে , চুমু দেহে এড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়, যা আমাদের দেহের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

চুমু চেহারা সুন্দর করে : ডেমিরজিয়ানের মতে চুমু চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। গভীর চুমু ঘাড় ও মুখের চোয়ালকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

এছাড়াও চুমু হতে পারে যৌন সামঞ্জস্যতার ব্যারোমিটার। ডেমিরজিয়ান বলেন, শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর আগে সঙ্গীকে পরীক্ষা করার একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে চুমু।

Share