টাইগারদের হাতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ‘বাংলাওয়াশড’

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : মেহেদী হাসান মিরাজ থ্রো করেছিলেন কাভার থেকে। ডিরেক্ট হিটে স্টাম্প ভেঙে জ্বলে উঠলো লাল আলো। মিরাজ দৌড় শুরু করলেন, যেন কেউই আজ থামাতে পারবে না তাকে। সতীর্থরাও হাল ছেড়ে দিতে চান না। মিরাজের পেছনে ছুটেন তারা। মিরাজকে জড়িয়ে ধরলেন, কে-কাকে জড়িয়ে ধরলেন আদতে; তা বোঝা গেল না।

কে, কাকে, কখনের চেয়েও এই সিরিজজুড়ে জরুরি ছিল ‘দল’। একটু একটু আলোয় আলোকিত করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। সেটির প্রতিচ্ছবিই হয়তো মিললো মিরাজের উদযাপনে। জস বাটলার আফসোস করতে করতে যখন মাঠ ছাড়ছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে তখন হয়তো উঁকি দিচ্ছে নতুন সূর্য। হাহাকারের লম্বা পথ পেরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন ভীষণ উজ্জ্বীবিত।

ব্যাটিংয়ে, বোলিংয়ে, ফিল্ডিংয়ে; কোথা থেকে উড়ে আসা ক্ষিপ্রতায় যেন প্রতিপক্ষকে চিঁড়েখুঁড়ে খাওয়ার তাড়না। এক বিন্দুও ছাড় না দেওয়ার প্রবল প্রতিশ্রুতি। সাকিব আল হাসানের দলে নাজমুল হোসেন শান্ত পারফর্ম করেন, হাসান মাহমুদও; এই দলে আদতে অবদান রাখেন সবাই।

তাতে কী হয়? জয় আসে। এক, দুই, তিন…সংখ্যার মাপকাঠি পেরিয়ে এসব জয়ের সমষ্ঠি দাঁড়ায় কয়েক মাস আগেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারার আনন্দ। প্রবল প্রতাপে খেলতে পারার আত্মবিশ্বাস। নতুন কিছু করতে পারার তীব্র তাড়না। আরও অনেক অনেক কিছু। কে জানে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের এবারের আলোটা দীর্ঘস্থায়ী হয় কি না। কিন্তু এমন কিছু আগে দেখা যায়নি কখনো।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ। পরে জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেললেও ৬ উইকেটে ১৪২ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। এর আগে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় বাংলাদেশ পেয়েছে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ।

Share