নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : নেভাদাতেও মামলা করেছে ট্রাম্প শিবির। মিশিগানের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্যে একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পর শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) আবার এই মামলা।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগগুলোর মধ্যে কয়েকটি এরইমধ্যে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা সঙ্গে সঙ্গেই অসফল হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ব্যালট গণনা বন্ধ করার একটি দাবিও ছিল।
কোনো ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন না করে মামলার অভিযোগে বলা হয় ‘ক্লার্ক কাউন্টির নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ অস্বাভাবিকতা ছিল। এরমধ্যে তিন হাজারের বেশি অযোগ্য মেইল-ইন ভোট ছিল।’
বিবিসি বলছে, যেসব রাজ্যে জো বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন বা ট্রাম্পের এগিয়ে থাকার ব্যবধান কমে গেছে, শুধু সেসব রাজ্যে নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে ছয় ইলেক্টোরাল ভোটের নেভাদাতে বাইডেন এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্প সমর্থকরা ভোটগণনা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস জয়ে টানটান ভোটযুদ্ধ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। ভোটের দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট না কে হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। অবশ্য বাইডেন জয়ের তীর ২৭০ এর মাত্র ছয় ভোট দূরে অবস্থান করছেন। তবে ট্রাম্প রয়ে গেছেন সেই ২১৪ তেই।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মতে, জর্জিয়া (১৬ ইলেক্টোরাল ভোট), নেভাদা (ছয় ইলেক্টোরাল ভোট), অ্যারিজোনা (১১ ইলেক্টোরাল ভোট) ও পেনসিলভেনিয়া (২০ ইলেক্টোরাল ভোট)- এই চার রাজ্যে দুই প্রার্থীর ভাগ্য। তবে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের চোখ নর্থ ক্যারোলাইনার ১৫টি ইলেক্টোরাল ভোটের দিকেও।
বলা হচ্ছে, শুধু নেভাদাতে বা বাকি চারটি রাজ্যের যেকোনো একটিতে জয় পেলে জো বাইডেন হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তবে ট্রাম্পের ক্ষেত্রে পথটা কঠিন। আবারও হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব ফিরে পেতে তার পেনসিলভেনিয়া এবং সঙ্গে বাকি চারটি রাজ্যের তিনটিতে জয় দরকার।
এরমধ্যে নেভাদা ও অ্যারিজোনায় আগেই এগিয়ে ছিলেন বাইডেন। এবার জর্জিয়ায়ও। এছাড়া পেনসিলভেনিয়াতেও তিনি ব্যবধান কমিয়ে আনছেন।