পশ্চিমবঙ্গে আম্পানের তাণ্ডব

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। বুধবার দুপুরের পর রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানে আম্পান। সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সৈকত নগরী দিঘা, মান্দারমনি, শঙ্করপুর, তাজপুর, হলদিয়াসহ একাধিক উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে সাগর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঝড়ে পশ্চিমবঙ্গে ৩ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুর থেকে দিঘার সমুদ্র চত্বরের গার্ডওয়াল টপকে সমুদ্রের ঢেউ স্থলভাগে প্রবেশ করতে শুরু করে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। ওই সব এলাকায় একাধিক মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। পশ্চিমবঙ্গে চার লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে নবান্ন কন্ট্রোলরুমে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অংশে আঘাত হানে ‘আম্পান’। চলে ব্যাপক তা ব। তার আগেই সুন্দরবনের তীরবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয় ৮০ হাজার মানুষকে। তাদের ৫০০টি ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে।

উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই কলকাতায় তাণ্ডব শুরু করে ‘আম্পান’। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ কলকাতায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার। শহরের অন্তত ২৭টি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া একটি ট্রাফিক সিগন্যালের লাইটপোস্টও ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের আগে থেকেই শহরের সব ফ্লাইওভার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরের সব কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের জেরে বিদেশে আটকাপড়াদের দেশে ফেরাতে কয়েকটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সব ফ্লাইট বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে।

Share