কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকার ১১ নং ওয়ার্ডের দেশওয়ালিপট্টিতে গড়ে তোলা ১১ তলা আবাসিক ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পাঁচতলা তৈরির অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে এই ভবনটিকে ১১ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে এ ভবন নির্মাণের কাজ চালানো হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙতে শুরু করেছে কুসিক কর্তৃপক্ষ।
তালুকদার হাউস নামে ওই ভবনটির মালিক সাদেকুল ইসলাম। তিনি কুমিল্লা পৌরসভা থাকার সময় সেখানে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেন। নির্মাণের দেড় বছর পর থেকে পাঁচতলা ভবনের ওপর একটু একটু করে আরও ছয় তলা গড়ে তোলেন তিনি।
নকশাবহির্ভূতভাবে এবং ভবন নির্মাণ আইন অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখায় ভবন মালিককে কাজ বন্ধ করতে কয়েকবার চিঠি দেয় সিটি কর্তৃপক্ষ। পরে ভবনটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিত্যক্ত’ ঘোষণা করে এটির সামনে ব্যানারও টানিয়ে দেওয়া হয়। এতেও টনক নড়েনি তালুকদার হাউসের মালিকের। এমনকি বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করেও নির্মাণকাজ বন্ধ করা যায়নি।
সর্বশেষ গত সোমবার সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ভবনের মালিককে আবারও পত্র দেয় এবং মঙ্গলবার তাকে ভবনের স্থানে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু সকালে কুমিল্লা সিটি মেয়রসহ সিটি কর্তৃপক্ষ ওই ভবনে গিয়ে মালিককে পাননি।
কুসিকের সার্ভেয়ার আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ভবনের মালিককে বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি তা মানেননি। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভবনের বর্ধিত অংশ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনের ঠিক পেছনেই মনোহরপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশপাশে বিভিন্ন আবাসিক-বাণিজ্যিক স্থাপনাও আছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম জানান, নগরীতে নকশাবহির্ভূতভাবে এবং নকশার অনুমোদন না নিয়ে নির্মাণ করা ভবনগুলোর তালিকা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে প্রক্রিয়াটিতে ধীরগতি থাকলেও এটি অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নগরীতে অনেকেই ভবনের অনুমোদনের অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণ করেছেন। কেউ নিজ দায়িত্বে অবৈধ অংশ অপসারণ না করলে করপোরেশন থেকেই তা ভেঙে ফেলা হবে।