প্রেমের টানে কলকাতা থেকে এসে ফিরে গেলেন কলেজছাত্রী

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সাইফুল খানের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়, তারপর অনলাইনের মাধ্যমে চার বছরের প্রেম করেন কলকাতার এক কলেজছাত্রী। প্রেমের টানে বাংলাদেশে এলেও পরে তিনি প্রতারণার শিকার হন। অবশেষে সোমবার সকালে কলকাতা ফিরে গেছেন তিনি।কলকাতা রানাঘাট এলাকার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কলেজে পড়েন ওই তরুণী। রানাঘাট নন্দীঘাট বৃদ্ধাকূল এলাকায় বাসা। পরিবারে বাবা-মা এবং ছোট একটি বোন রয়েছে তার।

ওই তরুণী সাংবাদিকদের জানান, চার বছর আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের সাইফুল খানের সঙ্গে। এরপর চলে প্রেম। চাকরির টাকা জমিয়ে তিনি কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি পাসপোর্ট ও ভিসা খরচ যোগান। এরপর সাইফুলের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ওই সময় তার সঙ্গে খুলনা নগরীর রায়েরমহল এলাকার এক নারীর পরিচয় হয়। তার সহযোগিতায় বাসে চট্টগ্রাম যান। প্রায় দুই মাস চট্টগ্রামে সাইফুলের কাছে ছিলেন। কিন্তু সাইফুল তার সঙ্গে প্রতারণা করেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি খুলনার রায়েরমহল এলাকায় ওই নারীর কাছে এসে বিপদের কথা জানান ওই তরুণী। পাশাপাশি তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভারতে ফেরত যাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা চান। ওই নারী তাকে খুলনার ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অফিসে নিয়ে যান। পরে খুলনার বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করেন। গত রোববার তাকে ভিসা দেওয়া হলেও মেয়াদ দেওয়া হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সাংবাদিকদের কলকাতার ওই তরুণী জানান, প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সাইফুলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। ফেসবুকে চার বছর প্রেম করার পর এমন প্রতারণার শিকার হবেন, তা বুঝতে পারেননি তিনি। এভাবে বাংলাদেশে এসে বড় ভুল করেছেন।

খুলনার ওই নারী বলেন, ‌গত ৩ ডিসেম্বর ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চাইলে তাকে একটি বাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেই। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি আবার আমার কাছে আসেন।

তিনি বলেন, ওই ছাত্রী আমাকে ‌’মা’ বলে ডেকেছেন। এছাড়া ভারতীয় একটি মেয়ে বাংলাদেশে এসে যেন বিপদগ্রস্ত না হয় এবং দেশের যেন দুর্নাম না হয়, তাই তার পাশে দাঁড়িয়েছি। ছেলেটি তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এমনকি তিনি চেইন আংটিসহ যে স্বর্ণালংকার নিয়ে এসেছিলেন, তাও ওই ছেলে রেখে দিয়েছে। মেয়েটি ভোমরা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় ফিরে গেছে।

Share