নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ঢাকার আমদানিকারক ফাতেমা ইন্টারন্যাশনাল ‘ওয়াশিং অ্যান্ড ক্লিনিং প্রিপারেশন’ আমদানির ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে এসেছে প্রসাধনী সামগ্রী-ভর্তি ৪০ ফুট কনটেইনার। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় কাস্টম হাউসে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় কোটি টাকার অধিক রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার নূর-এ-হাসনা সানজীদা অনুসূয়া গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এমভি মেরিন তারাবা জাহাজে করে থাইল্যান্ড থেকে কনটেইনারটি আসে। প্রায় ১৪ টন ওয়াশিং অ্যান্ড ক্লিনিং প্রিপারেশন আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল ফাতেমা ইন্টারন্যাশনাল। সে মোতাবেক তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের ওএসএল ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড বিল অব এন্ট্রিও দাখিল করে। কিন্তু আমাদের কাছে গোপন সাংবাদ থাকায় কনটেইনারটি আটক করি। তারপর সন্ধ্যায় কনটেইনার খুলে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা না করায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ও মূল্য বলা যাচ্ছে না। তবে প্রসাধনীর পরিমাণ দেখে কোটি টাকার অধিক রাজস্ব ফাঁকি হবে বলে ধরণা করছি। এখন প্রর্যন্ত ৯-১০ প্রকারের প্রসাধনী পাওয়া গেছে।
এআইআর শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ফাতেমা ইন্টারন্যাশনাল থাইল্যান্ডের সিজা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড থেকে ২০ হাজার ৬২৫ মার্কিন ডলারের ওয়াশিং অ্যান্ড ক্লিনিং প্রিপারেশন আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু আমদানিকারক ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করেনি। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী পণ্যর শুল্কহার ৫৮ শতাংশ। সে মোতাবেক ১০ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শুল্কও দেখিয়েছে। কিন্তু মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্যের শুল্কমূল্য ১২৭ শতাংশ। আর তাতে পণ্যের পরিমাণ অনুসারে এক থেকে দেড় কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি হতে পারে। তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা না হওয়ায় প্রকৃত শুল্কমূল্য বলা যাচ্ছে না। চালানটি আমাদানির জন্য ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ঋণপত্র করা হয়েছিল।