
আদমদীঘির সান্তাহার পৌর এলাকার লোকো কলোনিতে বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম বাদল হোসেন (৩৫)। তিনি ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন রেজাউল ইসলাম (৩৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলা সদরের চক তারতা এলাকার রেজাউল ইসলাম ও বগুড়ার সান্তাহার শহরের বাদল হোসেন ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলাও আছে। এক সময় দুজনে একসঙ্গে জেল খাটেন। সে সময় দুজনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরে পরস্পর দুজনের বাড়িতেও যাতায়াত করেন।
নিহত বাদলের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাদল রেজাউলের স্ত্রীকে এবং রেজাউল বাদলের স্ত্রীকে বিয়ে করে। এরপরও রেজাউল তার পূর্বের স্ত্রীর কাছে মাঝে মধ্যে দেখা করতে আসত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এর জের ধরে রেজাউল বুধবার রাতে বাড়িতে ঢুকে বাদলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে বাদল হাসপাতালে মারা যায়।’ ছেলের হত্যার বিচার দাবি করে থানায় মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সান্তাহার টাউন ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান বলেন, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাদলের মৃত্যু হয়। রেজাউলকে ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
