নয়াবার্তা প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারের নামে কোনো বিচারক যদি অবিচার করেন, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচার বিভাগের কেউ দুর্নীতি করলে তাকে রাখা হবে না।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি একটা ক্যান্সার। আমার হাতে পাঁচটা আঙুল আছে। যদি একটি আঙুলে ক্যান্সার হয় তাহলে বড় চিকিৎসা হচ্ছে সেটা কেটে ফেলা। তাই যে জজ বিচার বিক্রি করবে, সেই জজের আঙুল কেটে ফেলতে আমি একটুও দ্বিধাবোধ করব না। একজন জজ যদি বিচারের মাধ্যমে একজনের সম্পদ অন্যজনকে দিয়ে দেন, তাহলে তিনি ডাকাতের চেয়েও খারাপ।’
আজ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘এমন অন্যায়ের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। যদি কোনো জজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পান, জানালে সঙ্গে সঙ্গে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার তোফায়েল হাসান, ঝিনাইদহ জেলা জজ নাজিমুদৌলা, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকিদুল ইসলাম, সরকারি কৌঁসুলি বিকাশ কুমার ঘোষ ও পিপি ইসমাইল হোসেন, বারের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান এস এম মশিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি বলেন, মামলার জট কমাতে বিচারকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আদালতগুলোতে যে মামলাজট সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত ছাড়াতে বিচারকদের বলা হয়েছে, যাতে মানুষ ন্যায়বিচার পান।
তিনি আরও বলেন, মানুষ নিত্যদিন আদালত চত্বরে আসেন ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য। মানুষ যাতে আদালতে এসে স্বস্তিতে বসতে পারেন, তারা যাতে বুঝতে পারেন এই জায়গাটি তাদের। সেই জন্য প্রায় প্রতিটি জেলায় বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।
